বর্তমান যুগে মোটরসাইকেল কোন ফ্যাশন নেই আর। রীতিমত ‘প্রয়োজন’ হয়ে দাঁড়িয়েছে। গন্তব্যস্থলে দ্রুত পৌঁছে দিতে মোটরসাইকেলের জুড়ি নেই। কিন্তু বিপত্তিও কিছুমাত্র কম নয়। যেমন ধরুন, আপনি মোটরসাইকেলটি কোথাও রেখে গেলেন, কিছুক্ষণ পরে এসে দেখলেন আপনার সাধের বাহনটি হাওয়া! মানে চুরি করে নিয়ে গেছে চোর। এমন সমস্যায় যাতে আপনাকে পড়তে না হয় সেজন্য আপনার মোটরসাইকেলের নিরাপত্তায় কিছু ব্যবস্থা গ্রহণ করতে পারেন। নিচে দেয়া হল এমন কিছু বিশেষ ব্যবস্থা যার মাধ্যমে নিজেই ঠেকাতে পারেন মোটরসাইকেল চুরি। মিলিয়ে নিন তো আপনার মোটরসাইকেলে রেখেছেন কিনা এসব:
ডিস্ক লকঃ আপনার মোটরসাইকেলে অবশ্যই ডিস্ক লক ব্যবহার করবেন। লকটি যাতে বড়সড় এবং ভাল কোম্পানির হয়। কারন অনেক সময় দেখা যায় চোর বাইক স্টার্ট করে জোরে টান দিলে ডিস্ক লক ভেঙ্গে যায়। এক্ষেত্রে অধিকতর শক্তিশালী লক ব্যবহার করা ভাল।
পার্কিংয়ে সতর্ক হোনঃ আপনি মোটরসাইকেলটি নির্জন জায়গায় পার্কিং করবেন না। অনেক সময় দেখা যায় চোর এসে বাইকের মালিক বলে দাবী করে এবং চাবি হারিয়েছে এই বলে ভ্যানে উঠিয়ে বাইক নিয়ে যায়। এসময় আসে পাশের সাধারণ জনগণও বাইক ভ্যানে তুলতে সাহায্য করে। তাই অবশ্যই নিরাপদ জায়গায় মোটরসাইকেলটি পার্ক করুন।
সিকিউরিটি এলার্ম ব্যবহার করুনঃ মোটরসাইকেলে সিকিউরিটি এলার্ম ব্যবহার করুন। সিকিউরিটি এলার্ম আপনার মোটরসাইকেল চুরি রোধে সহায়তা করবে। এমন একটি সিকিউরিটি এলার্ম লাগাবেন যার রেঞ্জ অনেকদূর পর্যন্ত কাজ করে ।
সেন্সরঃ ইমোবিলাইজার সেন্সর সিস্টেম লাগিয়েও মোটরসাইকেলের নিরাপত্তা বাড়াতে পারেন । এক্ষেত্রে চোর কোনভাবে চাবি দিয়ে মোটরসাইকেলটি অন করে ফেললেও স্টার্ট করতে পারবে না।
কিল সুইচঃ কিল সুইচকিল সুইচ ব্যবহার করে আপনার মোটরসাইকেলের নিরাপত্তা জোরদার করতে পারেন। এটি আপনার মোটরসাইকেলের ইঞ্জিনের সাথে কানেকশন দিয়ে গোপন যায়গায় লুকিয়ে রাখবেন যেন আপনি ছাড়া আর কেউ না জানে।
একটা এক্সট্রা লকঃ অনেক সময় একটি লক আপনার মোটরসাইকেলের নিরাপত্তার জন্য যথেষ্ট নাও হতে পারে। সেজন্য সম্ভব হলে বাইকে ভাল কোম্পানির গ্রিপ লক এবং চেইন স্পোকেটে একটা এক্সট্রা লক লাগিয়ে মোটরসাইকেলটি চুরির হাত থেকে রক্ষা করতে পারেন।
নিরাপদ পার্কিং: আপনি যখন আপনার মোটর সাইকেলটি পার্কিং করবেন খেয়াল করবেন আশেপাশে সিসি ক্যামেরা আছে কিনা। সিসি ক্যামেরার আওতায় আপনার মোটরসাইকেলটি পার্ক করলে চোর সুবিধা করতে পারবে না।
পুলিশের সহায়তাঃ আপনি মোটরসাইকেল নিয়ে যেখানেই ভ্রমন করুন সাথে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর প্রয়োজনীয় নাম্বার সাথে রাখবেন। মোবাইলে পুলিশের ফোন নম্বর সম্বলিত এপ ইনস্টল করে রাখতে পারেন।
বাসায় সিসি ক্যামেরা লাগানঃ সারাদিনের কাজ শেষে বাসায় যেহেতু মোটরসাইকেলটি পার্ক করতে হয়। তাই অবশ্যই আপনার বাসার পার্কিংএ প্রয়োজনে সিসি ক্যামেরা লাগাতে পারেন। এতে আপনার মোটরসাইকেলটি অধিকতর নিরাপদ থাকবে।
এছাড়াও যদি কোনভাবে আপনার মোটরসাইকেলটি চুরি হয়ে যায়, তবে সাথে সাথে নিকটস্থ থানায় যোগাযোগ করুন। আরেকটি কথা, মোটরসাইকেল নিয়ে রাস্তায় নামলে অবশ্যই ট্রাফিক আইন মেনে চলুন।
কৃতজ্ঞতাঃ বাইক.কম.বিডি