দীর্ঘ অপেক্ষার পর অবশেষে কোহলির নেতৃত্বে ইংল্যান্ডে বিরাট জয় পেল ভারত। পতৌদি সিরিজের তৃতীয় টেস্টে ইংল্যান্ডকে ২০৩ রানে হারিয়ে সিরিজেও কামব্যাক করল ভারতীয় ব্রিগেড।
নটিংহ্যাম, লর্ডস টেস্টে লজ্জাজনক হারের পর বিরাটদের কাছে ট্রেন্ট ব্রিজ টেস্ট ছিল কার্যত ডু অর ডাই ম্যাচ। হারলে সিরিজ জেতার স্বপ্ন শেষ। আর ড্র হলে খোলা থাকত সিরিজ হারা থেকে বাঁচার একটা শেষ সুযোগ। তবে, এ যাত্রায় বিরাটদের জন্য এখনও জীবিত রইল সিরিজ জয়ের লাইফ লাইনটাই। আর এখান থেকে সিরিজ জিততে হলে জয়ের ধারা অব্যাহত রাখতে হবে দ্য রোজ বউল এবং লন্ডনের কেনিংটন ওভালেও। ২-১ থেকে সিরিজ জিততে হলে ভারতীয় দলকে জয়ের হ্যাটট্রিক করতেই হবে। ক্রিকেট বিশেষজ্ঞরা বলছেন এই পথ দুর্গম হলেও বিশ্বের এক নম্বর টেস্ট দলের কাছে তা দুঃসাধ্য নয়।
প্রসঙ্গত, এ দিন পঞ্চম দিনের খেলা শুরু হতেই জেমস অ্যান্ডারসনের উইকেট তুলে নেন স্পিনার রবিচন্দ্রন অশ্বিন। যার ফলে ৫২১ রানের পাহাড় প্রমাণ লক্ষ্যে পৌঁছনোর অনেক আগেই থামতে হয় ব্রিটিশদের। দ্বিতীয় ইনিংসে জো রুটের ইংল্যান্ড দল অল আউট হয় ৩১৭ রানে। আর এতেই সুনিশ্চিত হয় ভারতের জয়ও। এই ম্যাচে ম্যান অব দ্য ম্যাচ নির্বাচিত হন ভারত অধিনায়ক বিরাট কোহলি।
ট্রেন্ট ব্রিজে দুই ইনিংস মিলিয়ে বিরাটের সংগ্রহ ২০০ (৯৭ ও ১০৩)। উল্লেখ্য, এই টেস্টে বিরাট কোহলির অনবদ্য দুটো ইনিংসকে বাদ দিলেও প্রশংসিত হবে হার্দিক পান্ডিয়ার অল রাউন্ড পারফরম্যান্সও। ম্যাচে মোট ৬ উইকেট, সঙ্গে প্রয়োজনীয় ৭০ রান (১৮ ও অপরাজিত ৫২), এটা টেস্ট ক্রিকেটে হার্দিকের অন্যতম সেরা পারফরম্যান্সের মধ্যে একটি। একই সঙ্গে বলতে হবে যশপ্রীত বুমরাহর কথাও। দ্বিতীয় ইনিংসে এই স্পিডস্টারের দৌলতেই জয়ের পথ সুগম করতে পেরেছে। সব মিলিয়ে এ কথা বলতেই হবে, অলরাউন্ড পারফরম্যান্স করেই ভারত জয় পেয়েছে। আর এই পারফরম্যান্সই সিরিজের শেষ দুই ম্যাচে থাকলে, ভারতের সিরিজ জয়ের স্বপ্নও নিশ্চিতভাবে সফল হবে।