ডিএমপি নিউজ: অভিনব উপায়ে অবৈধ ভাবে বায়োমেট্রিক তথ্য সংগ্রহ ও সংরক্ষণ এবং সেই তথ্য দিয়ে মোবাইল ফোনের সিম বিক্রয় চক্রের ৬ সদস্যকে গ্রেফতার করেছে ডিএমপির ডিবি-সাইবার অ্যান্ড স্পেশাল ক্রাইম (উত্তর)।
গ্রেফতারকৃতরা হলো মোঃ মাসুদ, মোঃ মেহেদী হাসান, মোঃ আল-আমিন মিয়া, মোঃ আরাফাত রহমান, মোঃ নূর আলম ও মোঃ ইমন হোসেন।
গতকাল সোমবার দুপুরে ডিএমপির ডিবি কম্পাউন্ডে নিজ কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সাথে আলাপকালে এ বিষয়ে বিস্তারিত জানান অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (গোয়েন্দা) মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ, বিপিএম (বার), পিপিএম (বার)।
অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার বলেন, সোশ্যাল মিডিয়া ক্রাইম ইনভেস্টিগেশন টিম নিয়মিত অনলাইনে মনিটরিং করার সময় ‘ডিজিটাল সার্ভিস প্রো’ নামে ফেসবুক পেইজে মোবাইল সিম বায়োমেট্রিক, মোবাইল কললিস্ট, এসএমএস লিস্ট, বিকাশ/নগদ-এর তথ্যাদি টাকার বিনিময়ে সরবরাহ করা হচ্ছে এমন পোস্ট দেখতে পায়। তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় এর সাথে জড়িতদের অবস্থান শনাক্ত করে গত রবিবার ঢাকা মহানগরী, কুড়িগ্রাম ও রংপুর জেলায় ধারাবাহিক অভিযান পরিচালনা করে ৬ জনকে গ্রেফতার করা হয়। এসময় তাদের কাছ থেকে ব্যক্তিগত তথ্য সংগ্রহের কাজে ব্যবহৃত একটি মোবাইল অ্যাপ, বিশেষ পদ্ধতিতে সংগ্রহকৃত বিভিন্ন ব্যক্তির ৮০০ ফিঙ্গার প্রিন্টের অনুলিপি, বিভিন্ন ব্যক্তির বায়োমেট্রিক তথ্য ব্যবহার করে রেজিস্ট্রেশনকৃত মোবাইল ফোনের সিম ১১০টি, ২টি কম্পিউটার, ৫টি মোবাইল, ৩টি ফিঙ্গার প্রিন্ট স্ক্যানারসহ ফিঙ্গার প্রিন্ট সংগ্রহ ও সংরক্ষণের কাজে ব্যবহৃত বেশ কিছু অ্যাপ ও একটি ডিভাইস উদ্ধার করা হয়।
বায়োমেট্রিক তথ্য সংগ্রহের কৌশল সম্পর্কে অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার বলেন, চক্রটি বিভিন্ন মোবাইল ফোন অপারেটরে কর্মরত কিছু অসাধু কর্মীর সহায়তায় সিম বিক্রি বা সিম রিপ্লেসমেন্টের সময় হাত পরিষ্কার করার নামে বিশেষ পদ্ধতিতে ফিঙ্গার প্রিন্ট সংগ্রহ করে। সংরক্ষিত ফিঙ্গার প্রিন্ট দিয়ে তাদের অজান্তে তাদের এনআইডির বিপরীতে মোবাইল ফোনের সিম একটিভ করে অপরাধী ও প্রতারকদের কাছে উচ্চ মূল্যে বিক্রি করে। তারা ডিজিটাল সার্ভিস প্রো নামে ফেসবুক পেইজ এবং একাধিক হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপের মাধ্যমে প্রচার চালাতো।
কামরাঙ্গীরচর থানার মামলায় গ্রেফতারকৃত ৬ জনকে আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।