ডিএমপি নিউজঃ প্রতিবছরই অমর একুশে বইমেলার আয়োজন করে বাংলা একাডেমি কর্তৃপক্ষ। ফেব্রুয়ারি মাস জুড়ে বাংলা একাডেমি ও সোহরাওয়ার্দী উদ্যান প্রাঙ্গণে চলবে এই অমর একুশে বইমেলা। এই বইমেলাকে ঘিরে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ নিচ্ছে নিশ্ছিদ্র ও কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা।
আজ ২৫ জানুয়ারি সকাল ১১ টায় ডিএমপি সদর দপ্তরে অমর একুশে বইমেলার নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়ে আয়োজিত সমন্বয় সভায় একথা জানালেন ডিএমপি কমিশনার মোঃ আছাদুজ্জামান মিয়া বিপিএম (বার), পিপিএম। সভায় উপস্থিত ছিলেন ডিএমপি’র উর্ধ্বতন কর্মকর্তাসহ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর, বাংলা একাডেমি কর্তৃপক্ষ, লেখক ও প্রকাশক সংস্থার প্রতিনিধি, সরকারী বিভিন্ন সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিরা।
বইমেলায় গৃহীত নিরাপত্তা ব্যবস্থা সম্পর্কে ডিএমপি কমিশনার বলেন- বইমেলার ভিতরে ও বাহিরে পর্যাপ্ত সংখ্যক সাদা পোষাকে ও ইউনিফর্মে পুলিশ ডিউটিতে নিয়োজিত থাকবে। সিসিটিভি দিয়ে মেলার ভিতরে ও চারপাশে সার্বক্ষণিক পর্যবেক্ষন করা হবে। ইভটিজিং ও অনাকাঙ্খিত ঘটনা প্রতিরোধে থাকবে পুলিশের ফুট ও মোটরসাইকেল পেট্রলিং। নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তা প্রদানে থাকবে ওয়াচ টাওয়ার, ফায়ার টেন্ডার ও প্রাথমিক চিকিৎসার ব্যবস্থা। বইমেলার আশপাশ হকার মুক্ত করা হবে। বাংলা একাডেমির স্টীকার ব্যতীত কোন গাড়ি মেলা প্রাঙ্গণে প্রবেশ করতে পারবে না।
তিনি আরও বলেন- যাতে করে কোন প্রকার অপ্রীতিকর ঘটনা না ঘটে সেজন্য মেলায় প্রবেশ ও বাহিরের জন্য থাকবে আলাদা গেইট। প্রত্যেক দর্শনার্থীকে আর্চওয়ে ও মেটাল ডিটেক্টর দ্বারা তল্লাশীর মাধ্যমে মেলায় প্রবেশ করতে হবে। মেলায় দর্শনার্থীদের বিনামূল্যে বিশুদ্ধ পানি সরবরাহ করবে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ।
এছাড়াও কমিশনার বলেন, যদি কোন লেখক ও প্রকাশকের বিশেষ নিরাপত্তার প্রয়োজন হয় তাহলে মেলায় স্থাপিত পুলিশ কন্ট্রোল রুমে যোগাযোগ করলে তাদের নিরাপত্তা প্রদান করা হবে। যেকোন নতুন বই মেলায় আসলে বাংলা একাডেমি তা যাচাই বাছাই করে দেখবেন। যাতে করে কোন বই ধর্মীয়, সামাজিক ও জাতীয় মূল্যবোধে আঘাত না করতে পারে। মেলার নিরাপত্তা বিধানে যার যে দায়িত্ব তাকে সঠিকভাবে পালন করতে আহবান জানান ডিএমপি কমিশনার।
অমর একুশে বইমেলার গৃহীত নিরাপত্তা সম্পর্কে আগামী ৩০ জানুয়ারি বেলা ১২ টায় মেলা প্রাঙ্গণে প্রেস ব্রিফিং করে বিস্তারিত বলবেন ডিএমপি কমিশনার।