অস্ত্র আইন কঠোর করতে যাচ্ছে নিউজিল্যান্ডের মন্ত্রিসভা। দেশটির প্রধানমন্ত্রী জাসিন্ডা আর্ডের্ন বলেছেন, ক্রাইস্টচার্চে হামলার ঘটনার পর নিউজিল্যান্ডের মন্ত্রিসভা সে দেশের অস্ত্র আইন সংস্কারে ‘নীতিগত’ পরিবর্তনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
এ বিষয়ে বিস্তারিত জানাননি প্রধানমন্ত্রী। তবে আজ সোমবার এক সংবাদ সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী বলেন, তিনি দ্রুত এ বিষয়টি পরিষ্কার করবেন। আগামী ২৫ মার্চের মধ্যে অস্ত্র আইন সংস্কারের বিষয়ে বিস্তারিত প্রকাশ করতে পারবেন বলে আশা প্রকাশ করেছেন তিনি।
এক বিবৃতিতে জাসিন্ডা বলেন, এর অর্থ দাঁড়াচ্ছে ওই সন্ত্রাসী হামলার ঘটনার ১০ দিনের মধ্যে আমরা আমাদের অস্ত্র আইন পরিবর্তনের ঘোষণা করব। আমি বিশ্বাস করি যে, এটা আমাদের সম্প্রদায়কে নিরাপদ করে তুলবে।
এ সময় জাসিন্ডার পাশে ছিলেন তার জোট অংশীদার এবং উপ-প্রধানমন্ত্রী উইন্সটন পিটার্স। এর আগে অস্ত্র আইনে পরিবর্তন আনার বিষয়ে দ্বিমত পোষণ করেছিলেন পিটার্স।
এক বিবৃতিতে পিটার্স বলেন, এ বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে তার পূর্ণ সমর্থন রয়েছে। তিনি বলেন, বাস্তবতা হচ্ছে এটা যে, শুক্রবারের পর আমাদের বিশ্ব একেবারেই পরিবর্তিত হয়ে গেছে। সেই সাথে আমাদের বিভিন্ন আইনও।
জাসিন্ডা বলেন, ‘আমরা মন্ত্রিসভায় একটি সিদ্ধান্ত নিয়েছি। আমরা এ বিষয়ে ঐকমত্যে পৌঁছেছি। গত শুক্রবার ক্রাইস্টচার্চের দুটি মসজিদে জুমার নামাজের সময় হামলার ঘটনায় কমপক্ষে ৫০ জন নিহত এবং আরও অনেকেই আহত হয়েছেন।
এ ঘটনায় ২৮ বছর বয়সী অস্ট্রেলীয় নাগরিক ব্রেন্টন ট্যারেন্ট হত্যার দায়ে অভিযুক্ত হয়েছেন। ওই হামলার পর পরই নিউজিল্যান্ডের অস্ত্র আইন সংস্কারের বিষয়টি আলোচনায় আসে।
হামলার পরই এক বিবৃতিতে প্রধানমন্ত্রী জাসিন্ডা আর্ডের্ন বলেছিলেন যে, অস্ত্র আইন পরিবর্তিত হবে। হামলায় আহত ৯ জনের অবস্থা এখনো আশঙ্কাজনক।
নিউজিল্যান্ডের পুলিশ অ্যাসোসিয়েশন এরই মধ্যে সেমি-অটোমেটিক অস্ত্রের বৈধতা বাতিলের দাবি তুলেছে বলে রেডিও নিউজিল্যান্ডের খবরে বলা হয়েছে।
এর আগে নিউজিল্যান্ডের অস্ত্র আইনে কড়াকড়ি আরোপ করার চেষ্টা করা হলেও আগ্নেয়াস্ত্র ব্যবসায়ীদের শক্ত অবস্থান এবং নিউজিল্যান্ডে শিকার করার সংস্কৃতির কারণে তা সম্ভব হয়নি। কিন্তু এবার এই আইন পরিবর্তনের সময় এসেছে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী জাসিন্ডা।