ডিএমপি নিউজ : রাজধানীর কলাবাগান থানা এলাকা থেকে অস্ত্র মামলার এজাহারনামীয় পলাতক আসামি মোঃ শরীফ আব্দুল্লাহ (৩৬) কে গ্রেফতার করেছে কলাবাগান থানা পুলিশ।
গতকাল শুক্রবার (০১ নভেম্বর ২০২৪ খ্রি.) সন্ধ্যা সাত ঘটিকায় গ্রীণ রোডের হোটেল সিটি ইন এ অভিযান পরিচালনা করে তাকে গ্রেফতার করা হয়।
কলাবাগান থানা সূত্রে জানা যায়, শরীফ আব্দুল্লাহকে কলাবাগান থানায় গত ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪ খ্রি. রুজুকৃত অস্ত্র মামলায় গ্রেফতার করা হয়েছে। সে উক্ত মামলার এজাহারনামীয় পলাতক আসামি। মামলা সূত্রে জানা যায়, গত ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪ খ্রি. বিকাল তিন ঘটিকায় কলাবাগান থানার টহল দল সংবাদ পায় কলাবাগান থানাধীন লাল ফকিরের মাজারের পাশে ৬১/৭ নং বাসায় কয়েকজন দুস্কৃতকারী অপরাধ সংঘটনের উদ্দেশে দেশী-বিদেশী অস্ত্রশস্ত্র মজুদ করে আত্মগোপন করে আছে। এমন সংবাদের ভিত্তিতে থানা পুলিশ বিকাল সাড়ে তিন ঘটিকায় সেখানে অভিযান চালিয়ে মো. শুভ (২৭) ও মো. শাকিল হোসেন (২৫) কে গ্রেফতার করে। এ সময় পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে শরীফ আব্দুল্লাহ কৌশলে পালিয়ে যায়। পরবর্তীতে তাদের হেফাজত থেকে ম্যাগাজিনসহ দুটি পিস্তল, ১৩ রাউন্ড গুলি, একটি পাইপগান, ১২ রাউন্ড কার্তুজ, একটি এয়ারগান, একটি ইলেকট্রিক শক মেশিন, দুটি চাপাতি, তিনটি ছুরি, একটি চাইনিজ কুড়াল, একটি দা, তিনটি মোবাইল ও একটি ওয়েব ক্যামেরা উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় পলাতক শরীফ আব্দুল্লাহ, শুভ ও শাকিল হোসেনকে এজাহার নামীয় আসামি করে ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪ তারিখে কলাবাগান থানায় অস্ত্র আইনে একটি মামলা রুজু করা হয়।
থানা সূত্র আরও জানায়, তদন্তাধীন এ মামলায় গোয়েন্দা তথ্য ও প্রযুক্তির সহায়তায় পলাতক শরীফ আব্দুল্লাহর অবস্থান শনাক্ত করা হয়। পরবর্তীতে গতকাল শুক্রবার (০১ নভেম্বর ২০২৪ খ্রি.) সন্ধ্যা সাত ঘটিকায় গ্রীণ রোডের হোটেল সিটি ইন এ অভিযান পরিচালনা করে তাকে গ্রেফতার করা হয়।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, গ্রেফতারকৃত শরীফ আব্দুল্লাহ একটি সংঘবদ্ধ সন্ত্রাসী চক্রের সদস্য। সে ও চক্রের অন্যান্য সদস্যরা দীর্ঘদিন যাবৎ বিভিন্ন সন্ত্রাসী কার্যক্রম ও মাদক ব্যবসা পরিচালনা করে আসছে। তারা বিভিন্ন লোকদের ধরে এনে ইলেকট্রিক শক দিয়ে নির্যাতন করতো মর্মেও স্বীকার করেছে।
উল্লেখ্য, শরীফ আব্দুল্লাহর বিরুদ্ধে ডিএমপির কদমতলী ও নিউমার্কেট থানায় একটি করে মাদক মামলা এবং কলাবাগান থানায় একটি ছিনতাই ও একটি চুরির মামলা রয়েছে।
গ্রেফতারকৃতের বিরুদ্ধে পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন