১৮ বছরের মধ্যে সাদা পোশাকে এ ভেন্যুতে অজিদের কাছে হারের মুখ দেখেনি থ্রি-লায়নসরা। এমনকি ওয়ানডে ও টি-২০তেও এজবাস্টন দুর্গ ভেদ করতে পারেনি অস্ট্রেলিয়া। আর ২০০৮ সালের পর কোনও দলের বিপক্ষেই এখানে টেস্ট হারেনি ইংলিশরা।
কিন্তু সেই দুর্গ এবার ভেঙে ফেললো ন্যাথান লায়নের ঘূর্ণি। এ অফ-স্পিনারের ছয় শিকারে ২৫১ রানের বড় ব্যবধানে জয় তুলে নিলো অস্ট্রেলিয়া। সেই সঙ্গে পাঁচ ম্যাচের অ্যাশেজ সিরিজে ১-০তে এগিয়ে গেলো টিম পেইন বাহিনী।
চতুর্থ দিনেই ব্যাট হাতে নিজেদের কাজটি করে ফেলেছিল অজিরা। স্টিভেন স্মিথ ও ম্যাথু ওয়েডের জোড়া সেঞ্চুরিতে রান পাহাড়ে সওয়ার হয় সফরকারী অস্ট্রেলিয়া। ৭ উইকেটের বিনিময় ৪৮৭ রান তোলার পর ঘোষণা করে ইনিংস। এতে প্রথম ইনিংসে ইংল্যান্ডের ৯০ রানের লিড উল্টে ৩৯৮ রানের টার্গেট ছুড়ে দেয় অজিরা।
বাকি কাজটি করতে হতো বোলারদের। কি দারুণভাবেই না সেটা বাস্তবায়ন করলেন প্যাট কামিন্স ও ন্যাথান লায়নরা! একদিনে ৩৯৮ রানের চ্যালেঞ্জ টপকানো প্রায় অসম্ভব ব্যাপার। তাই ড্র করার দিকেই হয়তো মনোযোগী ছিল স্বাগতিক ইংল্যান্ড। কিন্তু লক্ষ্যে নেমেই যেন দিকভ্রান্ত স্বাগতিক শিবির। চতুর্থ দিনের বিনা উইকেটে ১৩ রান নিয়ে পঞ্চম দিনে ব্যাটে নেমে দলীয় স্কোরে মাত্র ৬ রান যোগ হতেই শুরু হয় উইকেট পতন। ১১ করে কামিন্সের শিকার হয়ে প্যাভিলিয়নের পথ ধরেন বার্নস। দলীয় ৬০ রানে ২৮ করে ন্যাথান লায়নের স্পিনে সরাসরি পরাস্ত হন জেসন রয়। আর দলীয় ৮০ রানে ২৫ করে জো ডেনলি ও ৮৫ রানে ২৮ করে লায়নের তৃতীয় শিকার বনেন জো রুট। প্রথম সেশনে ৭২ রান তুলতে ৪ উইকেট হারানোয় কঠিন হয়ে যায় ইংলিশদের কাজ।
এখান থেকে ম্যাচে ফিরতে পরের দুই সেশনে অসাধারণ কিছু করতে হতো ইংলিশদের। কিন্তু তেমন কিছুই করতে পারেনি জো রুট বাহিনী। এমনকি খেলতে পারেনি দ্বিতীয় সেশনের পুরোটাও। জো ডেনলি ১১, জস বাটলার ১, বেন স্টোকস ৬, জনি বেয়ারস্টো ৬, মঈন আলী ৪, ক্রিস ওকস ৩৭ ও স্টুয়ার্ট ব্রড শূণ্য রানে আউট হন। ৪ রানে অপরাজিত থাকেন জেমন অ্যান্ডারসন।
সব মিলিয়ে ৫২ ওভার তিন বল মোকাবেলা করে ইংল্যান্ড। গুটিয়ে যায় ১৪৬ রানে। ৪৯ রান দিয়ে ৬ উইকেট শিকার করেছেন ন্যাথান লায়ন। ৩২ রানের বিনিময়ে ৪ উইকেট নিয়েছেন প্যাট কামিন্স।
প্রথম ইনিংসে ১৪৪ ও দ্বিতীয় ইনিংসে ১৪২ রানের অনবদ্য ব্যাটিংয়ের সুবাদে ম্যাচ সেরা হয়েছেন স্টিফেন স্মিথ।
স্কোর : প্রথম ইনিংস অস্ট্রেলিয়া ২৮৪ ও ইংল্যান্ড ৩৭৪। দ্বিতীয় ইনিংস অস্ট্রেলিয়া ৪৮৭/৭ (ঘোষণা) ও ইংল্যান্ড ১৪৬।