প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা শিশুদের দেশের ভবিষ্যৎ উল্লেখ করে আশা প্রকাশ করেছেন যে তারা জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়ে তুলবে। তিনি বলেন, ‘আজকের শিশুরাই বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ এবং আমি আশা করি তারা বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা গড়ে তুলবে।’
প্রধানমন্ত্রী আজ বিকেলে গণভবনে বঙ্গবন্ধুর জন্মদিন উপলক্ষে অনুষ্ঠিত চিত্রাঙ্কন ও রচনা প্রতিযোগিতার বিজয়ীদের মধ্যে পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তৃতা করছিলেন। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান স্মৃতি ট্রাস্ট জাতির পিতার ৯৬, ৯৭ ও ৯৮তম জন্মদিন উপলক্ষে এ প্রতিযোগিতার আয়োজন করে।
ট্রাস্টের চেয়ারপার্সন শেখ হাসিনা শিক্ষার উন্নয়নে তাঁর সরকারের গৃহীত পদক্ষেপসমূহ তুলে ধরে বলেন, ‘দেশকে এগিয়ে নিতে এবং আগামী প্রজন্ম যাতে দেশের সুশিক্ষিত নাগরিক হিসেবে গড়ে উঠতে পারে সেজন্য আমরা শিক্ষার ওপর সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিচ্ছি।’
তিনি বলেন, আমরা চাই সকল শিশু তাদের শিক্ষা অব্যাহত রাখুক। আর তাই আমরা প্রাক-প্রাথমিক থেকে উচ্চ মাধ্যমিক পর্যন্ত বিনামূল্যে পাঠ্যপুস্তক বিতরণ করছি এবং তাদের বৃত্তি ও উপবৃত্তি দিচ্ছি। তাঁর সরকার বঙ্গবন্ধুর পদাঙ্ক অনুসরণ করে ২৬ হাজার প্রাথমিক বিদ্যালয় জাতীয়করণ করেছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘আমরা শিক্ষার উন্নয়নে দেশের প্রতিটি উপজেলায় সরকারি কলেজ ও স্কুল প্রতিষ্ঠা করছি।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, তাঁর সরকার শিশুদের গান ও চিত্রাঙ্কনের মত খেলাধুলা ও সাংস্কৃতিক কর্মকান্ডে উৎসাহ দিচ্ছে যাতে তাদের মেধা ও চিন্তা-চেতনা সঠিকভাবে বিকশিত হয়। বাংলাদেশকে ২০২১ সালের মধ্যে একটি মধ্য আয়ের দেশ এবং ২০৪১ সালের মধ্যে একটি সমৃদ্ধ ও উন্নত দেশে পরিণত করার সংকল্প পুনর্ব্যক্ত করে তিনি বলেন, ‘আগামী শতাব্দীতে বাংলাদেশকে সবচেয়ে উন্নত দেশ হিসেবে গড়ে তুলতে এবং আগামী প্রজন্মকে একটি সমৃদ্ধ ও সুন্দর জীবন উপহার দিতে আমরা পরিকল্পনা-২১০০ প্রণয়ন করেছি।’
জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমীন চৌধুরী, মন্ত্রী, প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা, সংসদ সদস্য এবং বেসামরিক ও সামরিক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন। এর আগে, প্রধানমন্ত্রী প্রতিযোগিতার বিজয়ীদের মধ্যে পুরস্কার ও সনদ বিতরণ করেন।