উচ্চ মাধ্যমিক পর্যায়ে ছয় লাখেরও বেশি শিক্ষার্থীকে উপবৃত্তি দেয়া হচ্ছে। আজ (রোববার) থেকে প্রথম ধাপের উপবৃত্তির টাকা হস্তান্তর করা হবে বলে উচ্চ মাধ্যমিক উপবৃত্তি প্রকল্প থেকে জানা গেছে। মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে সহজেই এ অর্থ উত্তোলন করতে পারবে শিক্ষার্থীরা।
বিদ্যালয়ের ৪০ শতাংশ ছাত্রী ও ১০ শতাংশ ছাত্র এ উপবৃত্তির টাকা পাচ্ছে। দ্বিতীয় ধাপের টাকা দেয়া হবে আগামী ডিসেম্বরে। এ বছর মোট ছয় লাখ দুই হাজার শিক্ষার্থীকে উপবৃত্তির আওতায় আনা হবে। সরকারের তহবিল থেকে এ বাবদ প্রায় ১৬২ কোটি ৫৪ লাখ টাকা ব্যয় ধার্য করা হয়েছে।
সূত্র জানায়, সারাদেশে দরিদ্র শিক্ষার্থীদের ঝরে পড়া রোধে ও পরিবারের ওপর চাপ কমাতে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অধীনে ২০১৪ সালে ‘উচ্চ মাধ্যমিক উপবৃত্তি প্রকল্প’ চালু হয়। এ প্রকল্পের মাধ্যমে গত কয়েক বছর ধরে দরিদ্র শিক্ষার্থীদের উপবৃত্তি দেয়া হচ্ছে। ২০১৭ সালের জুলাইয়ে প্রকল্পের মেয়াদ উত্তীর্ণ হলেও দ্বিতীয় দফায় আরও দুই বছর এর সময়কাল বাড়ানো হয়।
প্রকল্প কর্মকর্তারা জানান, ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষে এ প্রকল্পের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের টিউশন ফি, বইক্রয়, ফরমপূরণসহ অন্যান্য খরচের জন্য বিজ্ঞান শিক্ষার্থীদের বার্ষিক দুই হাজার ৮০০ এবং মানবিক, কারিগরি ও মাদরাসা শিক্ষার্থীদের দুই হাজার ১০০ টাকা হারে উপবৃত্তি দেয়া হবে।
জানা গেছে, তালিকা সংগ্রহে গত ডিসেম্বরে এ সংক্রান্ত বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হয়। এ কার্যক্রম চলে ২৫ জানুয়ারি পর্যন্ত। এরপর তা যাচাই-বাছাই করে চূড়ান্ত তালিকা তৈরি করা হয়। এছাড়াও বৃত্তিপ্রাপ্তরা নিজ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে বিনা বেতনে পড়ার সুযোগ পাবে। এ জন্য প্রকল্প থেকে কলেজ কর্তৃপক্ষকে মাসিক ৫০ টাকা দিতে হবে।
উপ-প্রকল্প পরিচালক এস এম সাইফুল আলম জাগো নিউজকে বলেন, উচ্চ মাধ্যমিক পর্যায়ের শিক্ষার্থীদের পড়ালেখা বাবদ অভিভাবকদের ব্যয় কমাতে গত কয়েক বছর ধরে উপবৃত্তি চালু রয়েছে। ‘উচ্চ মাধ্যমিক উপবৃত্তি প্রকল্পের’ মাধ্যমে প্রতি বছর বিপুল শিক্ষার্থী উপবৃত্তি পাচ্ছে।
তিনি বলেন, নিয়মিত পড়ালেখা চালিয়ে যেতে শুধু দরিদ্র শিক্ষার্থী নয়, প্রতিবন্ধী, এতিম, অসচ্ছল মুক্তিযোদ্ধার সন্তান ও নাতি-নাতনি, নদীভাঙন কবলিত এবং দুস্থ পরিবারের সন্তানদেরও অগ্রাধিকার দেয়া হয়ে থাকে।