‘আধুনিক বাংলা কবিতার অন্যতম শক্তিশালী কবি রফিক আজাদের ৭৬তম জন্মবার্ষিকী আজ। নানা কর্মসূচির মধ্যদিয়ে কবিকে স্মরণ করবে বিভিন্ন সংগঠন ও প্রতিষ্ঠান। রফিক আজাদ একাধারে মুক্তিযোদ্ধা, কবি, সাংবাদিক, সম্পাদক ও লেখক। কলেজে শিক্ষকতাও করেছেন। তার সাহিত্য চর্চা শুরু ছাত্র জীবনে। ষাটের দশকের খ্যাতিমান এই কবি শিক্ষকতার মাধ্যমে টাঙ্গাইল মওলানা মুহম্মদ আলী কলেজে কর্মজীবন শুরু করেন।
দেশ স্বাধীনের পর বাংলা একাডেমিতে যোগদান করেন। প্রায় দেড় দশক বাংলা একাডেমিতে পরিচালক ছিলেন। দীর্ঘদিন সম্পাদনা করেন একাডেমির সাহিত্য পত্রিকা ‘উত্তরাধিকার’। একাডেমির চাকরি ছেড়ে ইত্তেফাক গ্রুপের ‘সাপ্তাহিক রোববার’ পত্রিকার সম্পাদক হিসেবে যোগ দেন। কবি ১৯৭১ সালে আমাদের মহান মুক্তিযুদ্ধে কাদেরিয়া বাহিনীর অধীনে অংশ নেন।
কবি রফিক আজাদ মূলতঃ কবি এবং সৃষ্টিশীল ও চিরায়ত কবিতার প্রণেতা। সময়ে সময়ে তার কবিতা পাঠক ও সচেতন মানুষের মুখে মুখে উচ্চারিত হয়ে আসছে। তার প্রকাশিত কাব্যগ্রন্থগুলো হচ্ছে : অসম্ভবের পায়ে, সীমাবদ্ধ জলে সীমিত সবুজে, চুণিয়া আমার আর্কেডিয়া, পাগলা গারদ থেকে প্রেমিকার চিঠি, প্রেমের কবিতাসমগ্র, বর্ষণে আনন্দে যাও মানুষের কাছে, বিরিসিরি পর্ব, রফিক আজাদের কবিতা সমগ্র।
সাহিত্যে অবদানের জন্য কবি রফিক আজাদ একুশে সাহিত্য পুরস্কার, বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কার, হুমায়ুন কাদির স্মৃতি পুরস্কার, হাসান হাফিজুর রহমান স্মৃতি পুরস্কার, কবি আহসান হাবীব পুরস্কার, মুক্তিযোদ্ধা সম্মাননায় ভূষিত হন। ২০১৬ সালের ১২ মার্চ কবি ঢাকায় ইন্তেকাল করেন।
দিবসটি উপলক্ষে কবি রফিক আজাদ স্মৃতি পর্ষদ বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করেছে। পর্ষদের পক্ষ থেকে জানানো হয়, মিরপুর শহীদ বুদ্ধিজীবী কবরস্থানে সকালে কবির সমাধিতে স্মৃতি পর্ষদ ও পরিবারের পক্ষ থেকে পুষ্পার্ঘ অর্পণের মাধ্যমে শ্রদ্ধা জানানো হবে।