গাছে গাছে নতুন পাতা গজিয়ে আর ডালে ডালে ফুল ফুটিয়ে প্রকৃতিতে সবুজাভ তারুণ্য বিলিয়ে চলে গেল বসন্ত। ঋতুচক্রের পালাবদলে শেষ হয়ে এলো বছর। দুয়ারে নতুন বছরের আগমনী বার্তা। আজ শুক্রবার, বঙ্গাব্দ ১৪২৪-এর ৩০ চৈত্র, বছরের শেষ দিন—চৈত্রসংক্রান্তি। আজ থেকে বাংলা পঞ্জিকা থেকে মহাকালের কৃষ্ণগহ্বরে চিরতরে হারিয়ে যাবে বঙ্গাব্দ ১৪২৪।
আবহমানকাল থেকে পালিত হয়ে আসছে চৈত্রসংক্রান্তির উৎসব। এটি বাংলার লোকজ সংস্কৃতির এমন এক অনুষঙ্গ, যা ঐতিহ্যগতভাবেই উৎসবের আমেজে বর্ণিল। হালখাতার জন্য ব্যবসা প্রতিষ্ঠান সাজানো, লাঠিখেলা, সঙযাত্রা, রায়বেশে নৃত্য, গান, আবৃত্তি, শোভাযাত্রাসহ নানা অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে উদযাপিত হবে চৈত্রসংক্রান্ত্রি। গ্রামাঞ্চলে এ দিনকে কেন্দ্র করে বসছে রকমারি মেলা। শহরেও থাকছে নানা উৎসব-অনুষ্ঠান।
পুরনো বছরকে বিদায় আর নতুনকে বরণ করে নিতে দেশজুড়ে চলছে নানা প্রস্তুতি। বিভিন্ন সাংস্কৃতিক-সামাজিক সংগঠন করছে চৈত্রসংক্রান্তি ও বর্ষবরণের নানা আয়োজন। রাজধানীতে আজ বর্ষবিদায়ের বড় আয়োজনটি যৌথভাবে করছে চ্যানেল আই ও সুরের ধারা। বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে আয়োজিত এই অনুষ্ঠান সূর্যাস্ত থেকে চলবে রাত ১১টা ৫৯ মিনিট পর্যন্ত। এবারের আয়োজনে পৃষ্ঠপোষকতা করছে ইউনিলিভারের ব্র্যান্ড সানসিল্ক।
এ ছাড়া গ্রুপ থিয়েটার ফেডারেশনের আয়োজনে এবং শিল্পকলা একাডেমির সহযোগিতায় আজ সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় শিল্পকলা একাডেমির পরীক্ষণ থিয়েটার হলে চৈত্রসংক্রান্তি ১৪২৪ উদ্যাপন করা হবে। অনুষ্ঠানমালায় থাকছে মুড়িমুড়কি বিতরণ, সরোদ বাদন, খ্যাতনামা শিল্পীদের পরিবেশনায় গান, নৃত্য ও আবৃত্তি।
বেঙ্গল ফাউন্ডেশনের আয়োজনে আজ সন্ধ্যায় বেঙ্গল বইয়ের উঠানে সময় চেতনার গান পরিবেশন করবেন জলের গানের শিল্পীরা। জাতীয় জাদুঘরের আয়োজনে সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় থাকছে শামা রহমানের একক সংগীতানুষ্ঠান।
গুলশান রানার্স সোসাইটির আয়োজনে সকাল ৭টায় সোসাইটি চত্বরে থাকছে চৈত্র সংক্রান্তির জমকালো অনুষ্ঠান।