গত সাড়ে পাঁচ বছর ধরে এই দিনটির অপেক্ষায় ছিলেন মোহাম্মদ আশরাফুল। আজ ১৩ আগস্ট শেষ হচ্ছে তার উপর থাকা সব ধরনের নিষেধাজ্ঞা। আজ থেকে পুরোপুরি মুক্ত মোহাম্মদ আশরাফুল। এখন থেকে চাইলেই নির্বাচকরা জাতীয় দলের জন্য বিবেচনা করতে পারবেন তাকে। খেলতে পারবেন বিপিএলেও।
লন্ডন থেকে এক ভিডিও বার্তায় আশরাফুল জানান, গত সাড়ে পাঁচ বছর ধরে এই দিনটির অপেক্ষায় ছিলাম। ইংল্যান্ডে অনুষ্ঠেয় ২০১৯ বিশ্বকাপে খেলতে চান তিনি।
২০১৩ সালে বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগে (বিপিএল) ম্যাচ পাতানো ও স্পট-ফিক্সিংয়ের সঙ্গে জড়িত থাকায় তিনি নিষিদ্ধ হয়েছিলেন পাঁচ বছর। এরপর তিনি তার দোষও স্বীকার করেন। পরে অবশ্য লিস্ট ‘এ’ এবং প্রথম শ্রেণির ম্যাচ খেলার অনুমতি মেলে আশরাফুলের।
আশরাফুল স্বপ্ন দেখছেন ফের খেলবেন জাতীয় দলে। তবে আশরাফুল যতই আশায় বুক বাঁধেন না কেন, জাতীয় দলে ফেরাটা যে মোটেও সহজ হবে না সে ইঙ্গিত অবশ্য দিয়ে দিয়েছেন প্রধান নির্বাচক মিনহাজুল আবেদিন নান্নু, সে তো দীর্ঘদিন ধরে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের বাইরে। তাই ঘরোয়া ক্রিকেটে সব ফরম্যাটে ভালো করতে হবে। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের জন্য যে ধরনের ফিটনেস প্রয়োজন, সেটাও থাকতে হবে।
জাতীয় দলে ফেরার পথে বয়সও আশরাফুলের জন্য একটি বড় বাধা। এখন তার বয়স ৩৪। তবে মিনহাজুল আবেদীন বয়সকে কোনো বাধা মানছেন না। প্রধান নির্বাচকের মতে, একজন ক্রিকেটার যদি ফিট থাকে এবং জাতীয় দলে খেলার যোগ্য হয়, অবশ্যই তাকে বিবেচনা করা হবে। তবে আশরাফুলের জন্য বিষয়টা বেশ কঠিন বলেও মনে করছেন প্রধান নির্বাচক, ‘সত্যি কথা বলতে কি, এই মুহূর্তে জাতীয় দলের পাইপ লাইনে আশরাফুলের জন্য কোনো জায়গা দেখছি না। সে তো আমাদের সিস্টেমের মধ্যেই নেই। এইচপি দলে খেলতে হবে, ‘এ’ দলে খেলতে হবে …. আসলে জাতীয় দল থেকে আশরাফুল অনেক দূরে।’
আশরাফুল ঘরোয়া লিগে গত দুই মৌসুম মাঠে নেমেছেন। এর মধ্যে ঢাকা প্রিমিয়ার লিগে ২০১৭-১৮ মৌসুমে লিস্ট ‘এ’ ম্যাচে পাঁচটি সেঞ্চুরি পেয়েছেন তিনি। ঘরোয়া লিগে লিস্ট ‘এ’ ক্রিকেটে এক মৌসুমে দ্বিতীয় ব্যক্তি হিসেবে পাঁচ সেঞ্চুরির রেকর্ড গড়েন তিনি। তার আগে কেবল দক্ষিণ আফ্রিকার আলভারো পিটারসন এই রেকর্ড গড়েন। তবে প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে আশরাফুল খুব একটা ভালো করতে পারেননি। ১৩ ম্যাচে রান করতে পেরেছেন ২১.৮৫ গড়ে। সেঞ্চুরি পেয়েছেন একটি।