আজ ৮ জুলাই জীবন্ত কিংবদন্তি সৌরভ গাঙ্গুলী ৪৫-এ পা দিলেন। বিশেষ দিনটিতে ভারতীয় ক্রিকেটের যুগসন্ধিক্ষণের মূল নায়ককে শুভেচ্ছা জানাচ্ছেন তার অগণিত ভক্ত। সাবেক সতীর্থ থেকে শুরু করে বিশ্ব ক্রিকেটের লিজেন্ডরাও শুভেচ্ছায় ভাসিয়ে দিচ্ছেন প্রিন্স অব ক্যালকাটাকে।
লর্ডসে ১৯৯৬ সালে টেস্ট ক্রিকেটে অভিষেকের পর একের পর এক শৃঙ্গ অতিক্রম করেছেন তিনি। ২০০০ সালে ম্যাচ ফিক্সিংয়ের কলঙ্কজনক ঘটনা ভারতীয় ক্রিকেটের উপর আছড়ে পড়েছিল। ঠিক তখনই দলের দায়িত্ব নিয়ে ভারতীয় ক্রিকেটের মনোভাবই বদলে দিয়েছিলেন তিনি। ১১৩টি টেস্ট খেলে তিনি ৭ হাজার ২১৩ রান করেছেন। আর ৩১১ ওয়ানডে ম্যাচ খেলে করেছেন ১১ হাজার ৩৬৩ রান।তুলে এনেছিলেন হরভজন সিং, যুবরাজ সিং, বীরেন্দ্র শেবাগ, জাহির খানের মতো তারকাদের।
এই বিশেষ দিনে জেনে নিন একসময় গাঙ্গুলীকে নিয়ে কী ভাবতেন বাইশ গজের কিংবদন্তিরা:
রাহুল দ্রাবিড়: অফসাইডে ব্যাট চালানোর ক্ষেত্রে শীর্ষস্থানে রয়েছেন ক্রিকেট ঈশ্বর শচীন। আর দুই নম্বরে সৌরভ গাঙ্গুলী।
শচীন টেন্ডুলকার: সৌরভের সবচেয়ে বড় শক্তি হল মানসিকতা। নেটে-মাঠের বাইরে ও দারুণ পরিশ্রমী। মানসিকভাবে শক্তিশালী হওয়ার কারণেই প্রত্যাবর্তন করতে পেরেছিল।
বীরেন্দ্র শেবাগ: আমার জন্য টেস্টে ওপেনিং স্লট ছেড়ে দিয়েছিলেন তিনি। আমাকে টেস্ট ক্রিকেটার বানিয়েছিলেন সৌরভই।
যুবরাজ সিং: এমন ক্যাপ্টেনের জন্য জীবনও দিয়ে দিতে পারি।
হরভজন সিং: আমার খারাপ সময়ে সৌরভই আমি পাশে দাঁড়িয়েছিলেন। তার প্রতি কৃতজ্ঞতা ভাষায় প্রকাশ করা সম্ভব নয়।
মহেন্দ্র সিং ধোনি: টিভিতে একেবারে অন্যরকম দেখায় সৌরভকে। তবে মুখোমুখি সাক্ষাত হলে তিনি একেবারে ভিন্ন মানুষ, নিপাট ভদ্রলোক।
স্টিভ ওয়া: ভারতীয় ব্যাটিং লাইনআপে সৌরভ থাকা মানেই বুঝে নিতে হবে দলটি ভাল পজিশনে আছে। সৌরভকে পছন্দ-অপছন্দের ব্যাপার নয়; তাকে সম্মান করা উচিত।
ভিভিএস লক্ষ্মণ: কেবল বাউন্ডারি লাইন নয়, স্টেডিয়ামের বাইরেও বল পাঠানোর দক্ষতা রয়েছে সৌরভের। একাই স্পিনারদের রাতের ঘুম উড়িয়ে দিয়ে পারেন তিনি।
ব্রায়ান লারা: সৌরভ আমাদের ফেভরিট। অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে অজিদের বিরুদ্ধে তার নেতৃত্ব ছিল অনবদ্য। আমি তাকে দারুণ সম্মান করি।