আন্তর্জাতিক ক্রিকেটকে বিদায় জানালেন যুবরাজ সিং। বিশ্বকাপ চলাকালীনই অবসর ঘোষণা করলেন ভারতের ক্রিকেট ইতিহাসের অন্যতম সেরা এই অলরাউন্ডার। সোমবার মুম্বাইয়ে সাংবাদিক সম্মেলনে অবসরের সিদ্ধান্ত জানালেন এই তারকা।
সবশেষ জাতীয় দলের হয়ে খেলেছেন ২০১৭ সালের জুনে। একই বছর ফেব্রুয়ারিতে ভারতের হয়ে টি-টোয়েন্টিতে অংশ নিয়েছিলেন যুবরাজ সিং। শেষ টেস্ট খেলেছেন ২০১২ সালে। চলতি বছরের ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগেও (আইপিএল) প্রায় অবিক্রীত ছিলেন যুবি। যদিও শেষ পর্যন্ত মুম্বাই ইন্ডিয়ানস বেস প্রাইসে তাকে দলে ভেড়ায়। আইপিএলের এবারের আসরে মোট ৪ ম্যাচ অংশ নেন৷ একটি হাফ সেঞ্চুরিসহ ৯৮ রান করেন তিনি।
অবসর নিয়ে এদিন যুবরাজ বলেন, অসংখ্য ক্রিকেট ভক্তের ভালোবাসা পেয়েছি৷ পরিবারকে সব সময় পাশে পেয়েছি৷ ভারতের হয়ে অনেক ম্যাচ খেলেছি। ন্যাটওয়েস্ট থেকে ২০১১ বিশ্বকাপ একাধিক ম্যাচ সারা জীবন আমার মনে থাকবে৷ মনে থাকবে ২০০০ সালে অনুর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপ জয়।
২০১১ সালের ভারতের দ্বিতীয় বিশ্বকাপ জয়ের নায়ক ছিলেন তিনি। চারটি অর্ধশতক ও একটি শতক তুলে নেন। ১৫টি উইকেট শিকার করে টুর্নামেন্টের সেরা খেলোয়াড়ও নির্বাচিত হন তিনি। ২০১২ সালে ক্যানসারে আক্রান্ত হন যুবরাজ। যদিও সবাইকে অবাক করে আবার আন্তর্জাতিক পর্যায়ে ২২ গজের লড়াইয়েয় ফিরে আসেন এই স্পিনিং অলরাউন্ডার।
ক্যানসার প্রসঙ্গে এদিন তিনি বলেন, ক্যানসারে আক্রান্ত হওয়ার পর অনেকেই ভেবেছিলেন আমি আর ফিরতে পারব না। কিন্তু চিকিত্সক ও পরিবার সব সময় পাশে থেকেছেন আমার। আমি ফিরতে পেরেছি। তাই এবার সমাজের ক্যানসার আক্রান্তদের জন্য কিছু কাজ করতে চাই। ক্যারিয়ারে ৪০ টেস্ট, ৩০৪ ওয়ানডে ও ৫৮ টি-টোয়েন্টি ম্যাচে অংশ নিয়েছেন যুবরাজ।
ওয়ানডে ক্রিকেটে ৩০৪ ম্যাচে ৩৬.৫৫ গড়ে করেছেন ৮৭০১ রান। বল হাতেও কম যাননি। ওয়ানডেতে তার উইকেট সংখ্যা ১১১ টি। যার মধ্যে একবার নিয়েছেন ৫ উইকেটও। ১৯ বছরের ক্যারিয়ারে টেস্ট খেলেছেন ৪০টি। যেখানে ব্যাট হাতে ৩৩.৯৩ গড়ে ১৯০০ রানের পাশাপাশি নিয়েছেন, ৯ উইকেট। টি-টোয়েন্টিতে ৫৮ ম্যাচ খেলে ২৮.০২ গড়ে ৮৬৩ রানের পাশাপাশি আছে ২৮ উইকেটও।
এসব পরিসংখ্যানের চেয়েও যুবরাজকে মানুষ মনে রাখবে বিশ্বকাপের মঞ্চে ব্যাট হাতে ২৩ ম্যাচে এক সেঞ্চুরিসহ ৭৩৮ রান ও বল হাতে একবার ৫ উইকেটসহ ২০ উইকেটের অসাধারণ পারফরম্যান্সের জন্য।
ভারতীয় সংবাদ মাধ্যম জানাচ্ছে, আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে অবসর নেয়ার পর ৩৭ বছর বয়সী যুবরাজ জি টি-টোয়েন্টি (কানাডা), ইউরো টি-টোয়েন্টি, হল্যান্ডে বা আয়ারল্যান্ডে খেলা চালিয়ে যাবেন।