আধুনিক প্রযুক্তির কল্যাণে কম্পিউটার তথা ইন্টারনেট ব্যবস্থা মানবজাতির জীবনের সঙ্গে ওতপ্রোত ভাবে জড়িয়ে গিয়েছে। বড় বড় শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, বহুজাতিক সংস্থাগুলোতে ইন্টারনেটের জন্য ওয়াই-ফাই কানেকশন নেওয়া হয়।
স্মার্টফোনের সুবাদে ইন্টারনেট এখন আমাদের প্রায় সব সময়ের সঙ্গী। বাড়িতেও অনেকেই ইন্টারনেটের জন্য ওয়াই-ফাই কানেকশন ব্যবহার করেন। সঠিক ভাবে ব্যবহার না করলে, অন্য কোনও ডিভাইস আপনার কানেকশন ব্যবহার করতে পারে। তার জন্য কিছু নিরাপত্তা অবলম্বন করা দরকার।
ওয়াই-ফাই স্পিড কমে যাচ্ছে কি? কয়েক দিন ধরে মাঝে মধ্যেই ইন্টারনেট কানেকশন চলে যাচ্ছে? অন্য কেউ আপনার ওয়াই-ফাই ব্যবহার করছেন কিনা কী করে বুঝবেন?
১. ইন্টারনেট স্পিড কমে যাওয়ার অনেক কারণ থাকতে পারে। সার্ভারের সমস্যা বা ইন্টারনেট প্রদানকারি সংস্থায় কোনও ইস্যু হলে এই ধরনের সমস্যা দেখা দিতে পারে। কিংবা কেউ আপনার ইন্টারনেট ব্যবহার করছে, যার দরুন ওয়াই-ফাই স্পিড কমে যাচ্ছে।
২. প্রত্যেক ইউজারের একটি অনন্য আইপি(IP) এবং ম্যাক(MAC) অ্যাড্রেস থাকে। সঠিক ইউজার আইডির সঙ্গে রাউটার সংযুক্ত রয়েছে কিনা তা দেখা যায় মোবাইল ফোন বা কম্পিউটারে ওয়াই-ফাই সেটিংস-এ গিয়ে। এই ডিভাইসে অনেক সময় অন্যান্য ইউজারের নামও দেখা যায়। অন্য কোনও ডিভাইস আপনার রাউটারের সঙ্গে যুক্ত রয়েছে কিনা, ওয়াই-ফাই-এর মাধ্যমে ইন্টারনেট ব্যবহার করছে কিনা তা দেখা যাবে।
ওয়াই-ফাই সুরক্ষিত রাখার কিছু পদ্ধতি-
১. একটি জটিল পাসওয়ার্ড ব্যবহার করা উচিত। ডব্লিউপিএ২ হল একটি নতুন এনক্রিপটেড প্রোটোকল। এটা অনেক বেশি সুরক্ষিত আগের প্রোটোকলগুলির থেকে, যেমন: ডব্লিউপিএ, ডব্লিউইপি ইত্যাদি। একজন ইউজার হিসেবে আপনাকে রাউটারের মধ্যে ডব্লিউপিএ২ প্রোটোকলটিকে স্থাপন করতে হবে। যদি সমস্যা হয় এই ব্যপারে ইন্টারনেট দেওয়া সংস্থার সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারেন।
২. বেশির ভাগ ওয়াই-ফাই রাউটার দুই ধরনের আইপি অ্যাড্রেস থাকে, ১৯২.১৬৮.১.১ অথবা ১৯২.১৬৮.২.১। এই ধরনের আইপি অ্যাড্রেস থাকলে, যে কোনও ব্রাউজার থেকে অ্যাক্সেস করা যায়। রাউটার প্রস্তুতকারী সংস্থা লগইন এবং পাসওয়ার্ড-এর জন্য যথাক্রমে ‘রুট’ এবং ‘অ্যাডমিন’ এই শব্দ দুটি বেশি ব্যবহার করে। অতএব একবার কোনও ব্যক্তি এই পাসওয়ার্ড ব্যবহার করে লগইন করলে তার পক্ষে রাউটার ব্যবহার করা সহজ হয়ে যাবে। সেই জন্য সব সময় রাউটার ইনফরমেশন পরিবর্তন করতে হবে।
৩. রাউটারের উপর একটা কোড থাকে, যাকে এসএসআইডি(সার্ভিস সেট আইডেন্টিফায়ার) বলে। এই কোডটিকে হাইড করে দিলে নেটওয়ার্ক সুরক্ষিত থাকবে।
৪. বিভিন্ন ধরনের সফটওয়্যার আছে, যেগুলি ব্যবহার করলে বোঝা যায় অন্য কোনও ডিভাইস রাউটারের সঙ্গে যুক্ত রয়েছে কিনা। যেমন: এয়ারস্নেয়ার।