‘An apple a day, keeps doctor away…’ এই কথাটা তো আমরা সকলেই জানি। এর অর্থ হল, প্রত্যেকদিন একটা করে আপেল খেলে আমাদের আর ডাক্তারের কাছে যাওয়ার প্রয়োজন হবে না। আপেল তো শরীরের জন্য উপকারী। কিন্তু এটা কি জানেন, আপেল যতটা উপকারী, আপেলের বীজ ঠিক ততটাই ক্ষতিকর? এমনকি আপেলের বীজ আমাদের শরীরে বিষক্রিয়াও করতে পারে!
আপেলের বীজে বিষ। এই তথ্য জেনে রাখা খুবই জরুরি। কারণ, আপেল খাওয়ার সময় আমরা মোটেই খেয়াল রাখি না যে বীজ পেটে যাচ্ছে কিনা। জিভে পড়লে তখন ফেলে দিলেও, বেশিরবাগ সময়েই আপেল খাওয়ার সময়ে বীজ পেটে চলে যায়। দিনে ২-৩টে আপেল খাওয়ার সময়ে সব বীজ পেটে চলে গেলে মারাত্মক বিপদ হতে পারে। আপেলের বীজ পেটে গিয়ে সায়নাইড তৈরি করে। শরীরে চিনির সঙ্গে মিশে হাইড্রোজেন সায়নাইডে পরিণত হয়। এই হাইড্রোজেন সায়নাইডের ফলে মৃত্যুও ঘটতে পারে। এমনটাই বলছেন বিশেষজ্ঞরা।
তাঁরা জানাচ্ছেন, আপেল খাওয়ার সময়ে যদি আমরা আপেলের বীজটা না চিবিয়ে গোটা অবস্থায় গিলে ফেলি, তাহলে চিন্তার কারণ নেই। কারণ, তা সময় মতো মলের সঙ্গে পেট থেকে বেরিয়েও যায়। কিন্তু বীজ যদি চিবিয়ে ফেলেন, তাহলেই বিপদ। সেই বীজ তখন শরীরের কেমিক্যালের সঙ্গে মিশে সায়ানাইডে পরিণত হয়। তবে, সায়ানাইডের মাত্রা কম হওয়ার কারণে সবসময় ক্ষতিও হয় না। যদি অনেক বেশি মাত্রায় আপেলের বীজ খেয়ে ফেলা হয়, তাহলেই বিপদের আশঙ্কা থাকে।
প্রশ্ন হল, কতটা ক্ষতিকারক আর কীভাবেই বা ক্ষতি করে এই আপেলের বীজ?
১) প্রতিটি আপেলের বীজে গড়ে ০.৪৯ মিলিগ্রাম করে সায়ানোজেনিক যৌগ থাকে।
২) একটি আপেলে গড়ে ৮টি বীজ থাকে। অর্থাত্, গোটা আপেলে মোট সায়নাইডের পরিমান ৩.৯০ মিলিগ্রাম।
৩) ৬৫ কেজি ওজনের কোনও মানুষ কমপক্ষে ১৩২টি বীজ চিবিয়ে খেয়ে ফেললে মৃত্যু পর্যন্ত ঘটতে পারে। এর জন্য ১৮টি আপেল লাগবে।
এবার জেনে নিন আপেলের গুণাগুণগুলি-
১) স্তন, কোলন, ফুসফুস, লিভার ক্যানসার প্রতিরোধ করে আপেল।
২) হার্ট সুস্থ রাখে।
৩) ওজন নিয়ন্ত্রণ করে।
৪) ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ করে।
৫) আপেলের রস দাঁত ভালো রাখে।
৬) ত্বকের বিভিন্ন সমস্যা প্রতিরোধ করে।
৭) হজমশক্তি বাড়ায়।
৮) শরীর ঠান্ডা রাখে।
৯) হাড় মজবুত করে।
১০) অ্যালজাইমার্স রোগ প্রতিরোধ করে।
তাহলে আপেল খেয়ে সুস্থ থাকতে বীজ বাদ দিয়ে খান।