ডিএমপি নিউজঃ আমাদের অনেক ভালো কাজ রয়েছে। পরিবার রেখে মানুষের নিরাপত্তায় দিনের পর দিন, রাতের পর রাত দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছি। ঈদ, পূজা বা অন্য ধর্মীয় উৎসবসহ যেকোন জাতীয় উৎসবে আমরা পরিবারকে সময় না দিয়ে মানুষের নিরাপত্তা দিয়ে থাকি। এমন অসংখ্য ভালো কাজ রয়েছে। এরপরও কিছু পুলিশ সদস্যের অতিলোভে বাহিনীর সুনাম নষ্ট হচ্ছে। আপনি এমন কোন কাজ করবেন না যাতে আপনার সন্তান মানুষের কাছে আপনার পরিচয় দিতে লজ্জাবোধ করে। আমরা জবাবদিহিতা ও সুশাসন নিশ্চিত করে কাজ করবো।
আজ (১৭ সেপ্টেম্বর ২০১৯) সকাল ১০টায় রাজারবাগ পুলিশ লাইন্সে শহীদ এসআই শিরু মিয়া মিলনায়তনে ফোর্সের বিশেষ কল্যাণ সভায় সকলের উদ্দেশ্যে একথাগুলো বলেন ডিএমপি কমিশনার মোহাঃ শফিকুল ইসলাম বিপিএম (বার)।
বিশেষ কল্যাণ সভায় উপস্থিত পুলিশ সদস্যদের উদ্দেশ্যে কমিশনার বলেন, আমাদের ফোর্সের সর্বাত্মক কল্যাণ নিশ্চিতকল্পে সবরকম ব্যবস্থা গ্রহণ করবো। ডিএমপি’র শিক্ষাবৃত্তি থেকে শিক্ষা সহায়তা দেয়া হচ্ছে। এছাড়াও আমাদের কোন সদস্য ও তার পরিবারের সদস্য অসুস্থ হলে ডিএমপি’র কল্যাণ তহবিল হতে সহায়তা করা হয়। আমরা সবাইকে নিয়ে একসাথে কাজ করতে চাই। সবার ন্যায্য সুবিধা দিতে চাই। ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার সাথে নিম্ন পদস্থ ফোর্সের দূরত্ব কমাতে কাজ করবো। মানুষের জন্য ভালো কিছু করলে চুড়ান্ত বিচারে আপনি পুরস্কৃত হবেন।
কমিশনার বলেন, তোমরা কোনভাবে মাদকের সাথে যুক্ত হবে না ও মাদকাসক্ত হবে না। যদি কেউ মাদকাসক্ত হয়ে থাকো তাহলে নির্ভয়ে তোমার ডিসিকে জানাও, আমরা তোমার চিকিৎসার ব্যবস্থা করবো। এরপরও যদি কেউ মাদকাসক্ত হও, তাহলে ডোপ টেস্টে প্রমানিত হলে তাকে চাকরিচ্যুত করা হবে। মাদকের সাথে কেউ জড়িত হলে তাকে জেল খাটতে হবে।
থানার সেবার মানউন্নয়নে নতুন পরিকল্পনা সম্পর্কে কমিশনার বলেন, প্রত্যেক থানায় ডিএমপি হেডকোয়ার্টার্স থেকে জিডি ও মামলা সম্পর্কে ২টি ছক প্রেরণ করা হবে। প্রতিদিন বেলা ১২টার মধ্যে এই ছকে জিডি ও মামলার সংক্ষিপ্ত বিবরণ ডিএমপি হেডকোয়ার্টার্সে পাঠাতে হবে। বিকাল থেকে আমার অফিসের একটি টিম জিডিকারী ও মামলাকারীর কাছে মোবাইল করে থানার সেবার মান কেমন ছিল, আর্থিক লেনদেনে বাধ্য হয়েছেন কি না, আচরণ ও ব্যবহার কেমন ছিল, আপনাকে কেমন সহযোগিতা করেছে, থানার সেবা পেতে কোন হয়রানি হতে হয়েছে কি না ? উর্ধ্বতন কর্মকর্তা মামলা তদারকী করছে কি না ?এমন সব বিষয়ে জিজ্ঞাসা করা হবে। যদি কেউ সেবা প্রত্যাশীর সাথে খারাপ ও হয়রানিমূলক আচরণ করে তাহলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে। সেই সাথে প্রতিটি থানার প্রকাশ্য স্থানে বড় সাইনবোর্ডে থানা এলাকার এসি, এডিসি, ডিসির নম্বর দেয়া থাকবে। থানার যেকোন অনিয়ম ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানাতে নগরবাসীকে অনুরোধ জানান ডিএমপি কমিশনার।
বিশেষ কল্যাণ সভায় আগত পুলিশ সদস্যদের সমস্যার কথা শোনেন ও সমস্যা সমাধানের পদক্ষেপ নেয়ার আশ্বস্ত দেন ডিএমপি কমিশনার। এসময় ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনারবৃন্দ, যুগ্ম পুলিশ কমিশনারবৃন্দ, উপ-পুলিশ কমিশনারবৃন্দসহ বিভিন্ন পদমর্যাদার ৭৫০ জন পুলিশ সদস্য উপস্থিত ছিলেন।