রাশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই ল্যাভরভ হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেছেন, আমেরিকার নিচু-মাত্রার পরমাণু ওয়ারহেড তৈরির সিদ্ধান্ত পারমাণবিক যুদ্ধের আশংকাকে অনিবার্য করে তুলছে।
সোমবার আমেরিকার জাতীয় পরমাণু নিরাপত্তা সংস্থা বা এনএনএসএ নিশ্চিত করেছে যে, গত বছর প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প নির্দেশ দেয়ার পর তারা নিচু মাত্রার পরমাণু ওয়ারহেড বানানোর কাজ শুরু করেছে। এসব পরমাণু ওয়ারহেড যুদ্ধে ব্যবহার করা হবে। ট্রাম্পের এ সিদ্ধান্তের কারণে মার্কিন পরমাণু ক্ষেত্রে যেসব পরিবর্তন আসছে তা হচ্ছে- আগের পরমাণু নীতি পর্যালোচনা করা, সমুদ্রভিত্তিক নতুন ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র তৈরি ও প্লুটোনিয়াম পিট উৎপাদন।
এ প্রসঙ্গে ইরাকের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মুহাম্মাদ আলী আল-হাকিমের সঙ্গে মস্কোয় গতকাল (বুধবার) এক সংবাদ সম্মেলনে ল্যাভরভ বলেন, “এসব পরমাণু অস্ত্রের সম্ভাব্য ঝুঁকি সম্পর্কে রাশিয়া এরইমধ্যে আমেরিকাকে সতর্ক করেছে। আমরা মনে করি আমেরিকার নিচু মাত্রার পরমাণু অস্ত্র তৈরি ও ব্যবহারের সিদ্ধান্ত পরমাণু যুদ্ধের আশংকা বাড়িয়ে দিচ্ছে।”
এর আগে এনএনএসএ জানিয়েছে, তারা টেক্সাসের পরমাণু স্থাপনায় ডাব্লিউ-৭৬-২ নামের নিচু মাত্রার পরমাণু ওয়ারহেড বানানোর কাজ শুরু করেছে এবং ২০১৯ অর্থ-বছরের মধ্যে তা মার্কিন সামিরক বাহিনীর কাছে হসান্তর করা হবে।