করোনাভাইরাসের প্রার্দুভাব বাড়তে থাকায় সারা দেশের প্রাক-প্রাথমিক থেকে শুরু করে সব ধরণের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ছুটি আরও নয় দিন বাড়িয়েছে সরকার। কোচিং সেন্টারও বন্ধ থাকবে।
এর আগে ১৮ মার্চ থেকে ৩১ মার্চ পর্যন্ত দেশের সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়; এই ছুটি বাড়িয়ে ৯ এপ্রিল পর্যন্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। করোনাভাইরাসের কারণে আগামী ১ এপ্রিল অনুষ্ঠিতব্য এইচএইস পরীক্ষাও স্থগিত করেছে সরকার।
এদিকে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের নিয়মিত পড়ালেখা চালিয়ে যেতে শিশুদের মায়েদের মোবাইলে এসএমএস (ক্ষুদেবার্তা) পাঠানোর নির্দেশনা দিয়েছে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়।
শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনির সভাপতিত্বে মঙ্গলবার এক সভায় শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ছুটি বাড়ানোর সিদ্ধান্ত হয় বলে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়। সভায় শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী, মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের সচিব মাহবুব হোসেন, কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগের সচিব মুনশী শাহাবুদ্দীন আহমেদসহ মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে আলোচনা করে প্রাক-প্রাথমিক থেকে শুরু করে সব ধরনের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান আগামী ৯ এপ্রিল পর্যন্ত বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
শিক্ষামন্ত্রী বলেছেন, ছুটির সময় শিক্ষার্থীরা বাসায় অবস্থান করবে এবং আইইডিসিআর ঘোষিত স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলবে। তিনি জানান, আগামী ২৮ মার্চ থেকে সকাল ৯টা হতে রাত ৯টা পর্যন্ত সংসদ টিভির মাধ্যমে ৬ষ্ঠ শ্রেণি থেকে দশম শ্রেণির ক্লাস সম্প্রচার করা হবে।
শিক্ষা মন্ত্রণালয় জনসংযোগ কর্মকর্তা আবুল খায়ের সাংবাদিকদেরকে জানিয়েছেন, ২৬ মার্চ থেকে ৪ এপ্রিল পর্যন্ত সাধারণ ছুটি ঘোষণা করেছে সরকার। কিন্তু শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ৩১ মার্চ পর্যন্ত ছুটি ঘোষণা করা আছে। তাই ছুটি বাড়ানোর বিষয়ে দুই মন্ত্রণালয় বৈঠকের পর নতুন নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।
জানা গেছে, শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের বর্ষপঞ্জি অনুসারে রমজান, ঈদুল ফিতরসহ বেশ কিছু ছুটি মিলিয়ে ২৫ এপ্রিল থেকে ৩০ মে পর্যন্ত ছুটি রয়েছে। এছাড়া এপ্রিল মাসে শবেবরাত, ইস্টার সানডে ও পহেলা বৈশাখের ছুটি রয়েছে।
সাপ্তাহিক ছুটি ও সরকারি ছুটি বাদে চার থেকে ২৪ এপ্রিল পর্যন্ত মাত্র ১৪ দিন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলা। তাই করোনাভাইরাস রোধে এই ১৪ দিনও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখার চিন্তা আছে। তবে আপাতত ৯ এপ্রিল পর্যন্ত বন্ধ রাখার কথা বলা হয়েছে।