ছোট ভাইদের কাছে হেরে গেল বড় ভাইরা। আইসিসির সহযোগী সদস্য স্কটল্যান্ড হারিয়ে দিল ক্রিকেটের জনক ইংল্যান্ডকে। সেটাও যেনতেনভাবে নয়, একেবারে রেকর্ড গড়ে। এডিনবার্গে রোমাঞ্চ ছড়ানো এক ম্যাচে ইংলিশদের ৬ রানে হারিয়ে ইতিহাস গড়েছে স্কটিশরা।
র্যাংকিংয়ে দুই দলের মধ্যে বিস্তর ফারাক। ইংল্যান্ড ওয়ানডে র্যাংকিংয়ের এক নাম্বার দল, স্কটল্যান্ডের অবস্থান সেখানে ১৩তম। এর আগে চারবারের দেখায় একবারও ইংলিশদের কাবু করতে পারেনি স্কটিশরা। পঞ্চমবারে এসে মিলল অধরা জয়ের দেখা।
টসে হেরে ব্যাট করতে নেমে ৫ উইকেটে ৩৭১ রানের পাহাড়সমান পুঁজি দাঁড় করিয়েছিল স্কটল্যান্ড। আইসিসির সহযোগী কোনো দেশের এটিই সর্বোচ্চ দলীয় সংগ্রহের রেকর্ড। জবাব দিতে নেমে একটা সময় জয়ের খুব কাছে থাকলেও ৭ বল বাকি থাকতে ৩৬৫ রানেই আটকে যায় ইংল্যান্ডের ইনিংস।
স্কটল্যান্ডের এই অসাধ্য সাধনের নায়ক কলাম ম্যাকলয়েড। ৯৪ বলে ১৬ বাউন্ডারি আর ৩ ছক্কায় হার না মানা ১৪০ রানের অতিমানবীয় এক ইনিংস খেলে বসেন এই ব্যাটসম্যান। সঙ্গে কাইল কোয়েটজার (৫৮) আর জর্জ মুনসের (৫৫) হাফসেঞ্চুরিতে রেকর্ড গড়া পুঁজি পায় স্কটল্যান্ড।
৩৭২ রানের বড় সংগ্রহ তাড়া করতে নেমেও অবশ্য একটা সময় জয়ের পথেই ছিল ইংল্যান্ড। জনি বেয়ারস্টোর বিধ্বংসী ব্যাটিংয়ে ১৮তম ওভারেই ১ উইকেটে ১৬৫ রান তুলে ফেলেছিল মরগানের দল। ৫৯ বলে ১২ চার আর ৬ ছক্কায় ১০৫ রান করে আউট হন বেয়ারস্টো। এরপরও মঈন আলী, লিয়াম প্লাংকেটদের ব্যাটিংয়ে ম্যাচে ভালোভাবেই ছিল ইংলিশরা।
৩৩ বলে ৪৬ রান করে মঈন যখন আউট হন, তখন ২৭ বলে ২৫ রান দরকার ইংল্যান্ডের। হাতে ছিল ২ উইকেট। কিন্তু লোয়ার অর্ডার ব্যাটসম্যানরা দলকে জয়ের বন্দর পর্যন্ত নিয়ে যেতে পারেননি। ৪৫ বলে ৪৭ রান নিয়ে অপরাজিত ছিলেন প্লাংকেট।