চীনের সঙ্গে যে ১৪টি দেশের সীমানা তার মধ্যে ইউরোপের একমাত্র দেশ রাশিয়া পড়ছে। অথচ রুশ দেশে করোনাভাইরাস হানার খবর এখনও পর্যন্ত নেই। কিন্তু ইউরোপের অন্যান্য দেশে ছড়িয়েছে এই ভাইরাস।
চীনে ২৭০০ জনের বেশি মৃত। তার পরেই করোনাভাইরাসে মৃতের তালিকায় উঠে আসছে ইতালির নাম। ইউরোপের এই দেশেই সর্বাধিক মৃত্যু হচ্ছে। বিবিসি জানাচ্ছে, অন্তত ৪০০ জনের বেশি করোনাভাইরাসে আক্রান্ত।
ইউরোপের মধ্যে ইতালিতেই করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব সবচেয়ে মারাত্মক। অস্ট্রিয়া, ক্রোয়েশিয়া ও সুইজারল্যান্ডেও ছড়াচ্ছে ভাইরাস। ইতালির পরিস্থিতি দেখে প্রতিবেশী সব দেশ ইতিমধ্যে সীমান্ত বন্ধ করে দিয়েছে।
বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংবাদ মাধ্যমের খবর, অস্ট্রিয়ার টিরোল প্রদেশের প্রধান শহর ইনসব্রুকে এক ইতালিয় দম্পতির দেহে মিলেছে করোনাভাইরাস। তিনি হোটেলে কাজ করতেন, হোটেলটি বন্ধ রাখা হয়েছে।সুইজারল্যান্ড সরকারও ইতালির সীমান্তবর্তী শহরে এক ব্যক্তির দেহে করোনাভাইরাস সংক্রমণের কথা জানিয়েছে।
আগেই ব্রিটিশ স্বাস্থ্য পরিকাঠামো বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছিলেন, করোনাভাইরাস ইউরোপে ভয়াবহ পরিস্থিতি তৈরি করতে পারে। খোদ লন্ডন শহর ও ইংল্যান্ডে ৪ লক্ষ মানুষ বিপদের মধ্যে রয়েছেন।
আন্তর্জাতিক স্বাস্থ্য সংস্থা হু জানাচ্ছে, চীন থেকে ছড়িয়ে পড়া করোনাভাইরাস বিশ্ব জুড়ে মহামারির চেহারা নিতে চলেছে। সেই সতর্কতা কতটা ভয়াবহ তার ছবি এখনও স্পষ্ট নয়।
ফ্রান্স ও জার্মানিও করোনাভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা বৃদ্ধি হয়েছে। এদের মধ্যে উত্তর ইতালি থেকে আসা কয়েকজনও রয়েছেন।