যথাযোগ্য মর্যাদা ও ভাবগাম্ভীর্যের মধ্যদিয়ে রাজধানীসহ সারাদেশে শোকের মাসের ৯ম দিন পালিত হয়েছে। আর মাত্র ৫ দিন পর ১৫ আগস্ট, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪২তম শাহাদাৎ বার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস।
পঁচাত্তরের ঐ কালরাতে ঘাতকদের হাতে নির্মমভাবে নিহত হয়েছিলেন বাঙালীর স্বপ্নদ্রষ্টা, সর্বকালের শ্রেষ্ঠ বাঙালী জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। সেই সাথে নিহত হয়েছিলেন তার কনিষ্ঠ শিশু পুত্র রাসেল ও পরিবারের সকল সদস্য। সেদিন ভাগ্যক্রমে বেঁচে যান জাতির জনকের দুই মেয়ে শেখ হাসিনা ও শেখ রেহেনা।
স্বাধীনতা বিরোধী অপশক্তি বাঙালী জাতির হৃদয় থেকে মুছে ফেলতে চেয়েছিল বঙ্গবন্ধুর নাম। তবে ইতিহাস বিকৃতির মাধ্যমে বা জোর করে কারো নাম বা অবদানকে মুছে ফেলা যায় না। ইতিহাস তার আপন গতিতে চলে। হয়তো সাময়িক বিভ্রান্তি সৃষ্টি করা যায়। বঙ্গবন্ধুর শাহাদাত বার্ষিকী ১৫ আগস্ট জাতীয় শোক দিবস রাষ্ট্রীয়ভাবে পালিত হচ্ছে। বিশ্বব্যাপী বঙ্গবন্ধুর আত্মত্যাগের স্বীকৃতি মিলেছে।
বুধবার জাতির পিতার ৪২তম শাহাদাৎ বার্ষিকী উপলক্ষে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগ, আওয়ামী যুবলীগ, বাংলাদেশ মেডিকেল এসোসিয়েশন (বিএমএ), স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদ (স্বাচিপ), চলচ্চিত্র ও প্রকাশনা অধিদপ্তর-সহ বিভিন্ন সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন পূর্ব নির্ধারিত কর্মসূচি পালন করেছে।
বিকেলে বিএমএ অডিটোরিয়ামে বিএমএ সভাপতি ডা. মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিনের সভাপতিত্বে সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন বাণিজ্য মন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ। প্রধান বক্তা ছিলেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম। সভায় বক্তারা বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা বিনির্মাণে ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করার আহ্বান জানান।
দুপুরে চলচ্চিত্র ও প্রকাশনা অধিদপ্তর প্রাঙ্গণে সপ্তাহব্যাপী প্রামাণ্যচিত্র, প্রকাশনা ও আলাকচিত্র প্রদর্শনী কর্মসূচি শুরু হয়েছে। প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত সবার জন্য উন্মুক্ত থাকবে। কর্মসূচির উদ্বোধন করেছেন তথ্যসচিব মরতুজা আহমদ। চলচ্চিত্র ও প্রকাশনা অধিদপ্তর (ডিএফপি)’র মহাপরিচালক মোহাম্মদ ইসতাক হোসেনের সভাপতিত্বে এ অনুষ্ঠানে তথ্য অধিদপ্তরের প্রধান তথ্য অফিসার কামরুন নাহার এসময় উপস্থিত ছিলেন।