ডিএমপি নিউজঃ নিজেকে ইমাম মাহদী দাবীকারী সৌদী প্রবাসী মুস্তাক মুহাম্মদ আরমান খানের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা দায়ের করা হয়েছে। মামলাটি দায়ের করে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের কাউন্টার টেররিজম বিভাগ।
সিটিটিসি সূত্রে জানা যায় যে, নিজেকে ইমাম মাহদী দাবীকারী মুস্তাক মুহাম্মদ আরমান খান দীর্ঘদিন যাবৎ ইউটিউব, ফেসবুক সহ বিভিন্ন অনলাইন প্ল্যাটফর্মে ইসলাম ধর্মের অপব্যাখামূলক, মনগড়া ও ভিত্তিহীন বক্তব্য অডিও ভিডিও আকারে ইউটিউব চ্যানেল ‘‘তাকওয়া অনলাইন টিভি” সহ অন্যান্য ইউটিউব চ্যানেল এবং ‘‘মুস্তাক মুহাম্মদ আরমান খান” নামীয় ফেসবুক আইডি হতে প্রচার করে আসছিল। এতে দেখা যায় যে, তিনি নিজেকে মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সঃ) এর বংশধর হিসেবে দাবী করেন এবং স্বপ্নযোগে ইমাম মাহদী হিসেবে ঘোষিত হবার বার্তা প্রাপ্ত হন।
ইমাম মাহাদীর পরিচয় ধারন করে এ ধরনের অসত্য, বিভ্রান্তিকর বক্তব্য ও তথ্য উপাত্ত প্রদানের ফলে দেশের ধর্মপ্রাণ বৃহত্তর মুসলিম জনগোষ্ঠীর ধর্মীয় অনভুতিতে আঘাত প্রাপ্ত হওয়াসহ ব্যাপক বিভ্রান্তির সৃষ্টি হচ্ছে। উক্ত ব্যক্তি তার প্রকাশিত ভিডিও বার্তায় বিভ্রান্তিকর তথ্য প্রকাশের মাধ্যমে নিজেকে ইমাম মাহাদী দাবী করে তার কাছে কথিত ‘‘বায়াত” গ্রহনের জন্য বৃহত্তর মুসলিম জনগোষ্ঠীর প্রতি আহবান জানায়।
সিটিটিসি সূত্রে আরো জানা যায় যে, সাম্প্রতিককালে তার এরূপ বক্তব্যে বিভ্রান্ত হয়ে বাংলাদেশ থেকে তার নিকট কথিত ‘‘বায়াত” গ্রহন করে ইমাম মাহাদীর সৈনিক হিসেবে কথিত জিহাদে অংশ গ্রহনের উদ্দেশ্যে সৌদী আরব গমনের প্রাক্কালে গত ৪ মে, ২০২০ তারিখে ১৭ জন এবং ০৭ মে, ২০২০ আরো ০২ জন সহ মোট ১৯ জন পুলিশের কাছে ধৃত হয়। তাদের বিরুদ্ধে ইতিমধ্যে রমনা থানায় সন্ত্রাস বিরোধী আইনে মামলা রুজু করা হয়েছে।
এই ধরনের বিভ্রান্তমূলক অপপ্রচার এবং দেশকে অস্থিতিশীল করার দায়ে ইমাম মাহদী দাবীকারী সৌদী প্রবাসী মুস্তাক মুহাম্মদ আরমান খানের বিরুদ্ধে আজ ২২ আগস্ট, ২০২০ রমনা মডেল থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে একটি মামলা রুজু করা হয়েছে। তাকে গ্রেফতারের প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে।