শক্তিতে দুই দলই ছিল সমানে সমান। ম্যাচ শেষে তারা কেউ কাউকে ছাড়িয়ে যেতে পারেনি। ম্যাচটি হয়েছে টাই। তবে তিন ম্যাচে সমান ৫ পয়েন্ট নিয়ে নেট রান রেটে স্বাগতিকদের পেছনে ফেলে ‘বি’ গ্রুপের চ্যাম্পিয়ন হয়েছে পাকিস্তান।
কক্সবাজারে টস জিতে আগে ব্যাট করতে নামে পাকিস্তান। নিজের প্রথম ৩ ওভারে দুই ওপেনার ইমরান বাট ও ইমাম-উল-হককে এলবিডব্লিউ করেন পেসার মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন । ২০ রানে ২ উইকেট হারানো পাকিস্তান আরেকবার জোড়া আঘাতের মুখোমুখি হয়। ৩৪ ও ৩৫ রানে আরও দুই ব্যাটসম্যানকে হারায় তারা।
এই ধাক্কা অতিথি দলটি কাটিয়ে ওঠে হাম্মাদ আজম (৩০) ও হ্যারিস সোহেলের (৬৩) জুটিতে। পঞ্চম উইকেটে ৮৬ রান যোগ করেন তারা। নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৮ উইকেটে ২৩৩ রান করে পাকিস্তান।
পাকিস্তানের মতো বাংলাদেশ শুরুটা ভালো করতে পারেনি। স্কোরবোর্ডে ২৪ রান থাকতেই দুই ওপেনার সাইফ হাসান ও আজমির আহমেদ আউট হন। পরে নাজমুল হোসেন শান্ত ও মোহাম্মদ মিথুনের সঙ্গে দুটি পঞ্চাশ ছাড়ানো জুটিতে প্রতিরোধ গড়েন মুমিনুল। অধিনায়ক ইনিংস সর্বোচ্চ ৭৫ রানে আউট হন। নাজমুলের সঙ্গে তার ৬৩ ও মিথুনের সঙ্গে ৭৩ রানের জুটি বাংলাদেশকে জয়ের পথে রেখেছিল।
কিন্তু শেষ ১০ ওভারে এলোমেলো হয়ে যায় খানিকটা। নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারাতে থাকে বাংলাদেশ। শেষ ওভারে প্রয়োজন ছিল ৭ রান, যেখানে প্রতি বলে একটি করে রানের বেশি নিতে পারেননি দুই ব্যাটসম্যান সাইফউদ্দিন ও নাঈম হাসান। ফলে বাংলাদেশের স্কোর দাঁড়ায় পাকিস্তানের মতোই ৫০ ওভারে ৮ উইকেটে ২৩৩।
সংক্ষিপ্ত স্কোর
পাকিস্তান: ৫০ ওভারে ২৩৩/৮ (হ্যারিস ৬৩, তালাত ৫৭*; সাইফউদ্দিন ৩/৫৪, আবুল ২/৪০)
বাংলাদেশ: ৫০ ওভারে ২৩৩/৮ (মুমিনুল ৭৫, মিথুন ৫৩; তালাত ২/৪১, জাফর ২/৪০)
ফল: ম্যাচ টাই