পারস্য উপসাগরে মার্কিন নৌ বাহিনীর অবস্থানে ক্রমাগত আন্তর্জাতিক রাজনীতির গতিমুখ নতুন সমীকরণ করে চলেছে৷ ইরানের তেল রফতানিতে মার্কিনি নিষেধাজ্ঞার জবাবে এবার মুখ খুলেছে রাশিয়া৷ মস্কো থেকে রুশ উপ-পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই রিয়াবকভ বার্তা দিলেন- মার্কিন নিষেধাজ্ঞার কারণে ক্ষতিগ্রস্ত ইরানের তেল রপ্তানি খাতকে সহযোগিতা করতে তার দেশ প্রস্তুত৷ তেল বাণিজ্যের এই আন্তর্জাতিক লেনদেনের জন্য রুশদের তরফে ইরান সরকারের সাহায্যে বিশেষ ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে বলেও জানান তিনি৷
ক্রেমলিনের এই অবস্থান পর ওয়াশিংটন কী জবাব দিতে চলেছে তার দিকেও লক্ষ্য রাখছেন বিশেষজ্ঞরা৷ কারণ, ইতিমধ্যে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের হুমকি, ইরান যদি যুদ্ধ চায় তাহলে ইরান ধ্বংস হয়ে যাবে৷ আর ইরানও জানিয়েছে, একটা গুলি ছোঁড়া হলেই বিশ্ব জোড়া তেলের বাজারে অস্থিতিশীলতা তৈরি হবে৷ এতে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বন্ধু দেশগুলির অর্থনীতিতে প্রবল ধাক্কার সম্ভাবনা৷ এর দায় নিতে প্রস্তুত থাকুক ওয়াশিংটন৷
মার্কিন-ইরান কূটনৈতিক সম্পর্ক দীর্ঘ সময় ধরেই উত্তপ্ত৷ সাম্প্রতিক সময়ে পারস্য উপসাগরে ইরানি সীমান্তের ভিতর চলে আসা একটি মার্কিন ড্রোনকে গুলি করে ধংস করে ইরানি রক্ষীরা৷ তারপর থেকেই তেহরানের লাগাতার হুমকি ও রাষ্ট্রসংঘে চরম পত্র পাঠানোর জেরে আরও উত্তপ্ত আন্তর্জাতিক মহল৷ কড়া হুঁশিয়ারি দিয়ে ইরান সরকারের দাবি, একটা গুলি যদি ছোঁড়া হয়, তাহলে বিশ্ব তেলের বাজারে প্রবল অস্থিতিশীলতা তৈরি হবে৷ তার প্রবল ধাক্কা লাগবে আমেরিকা ও তার মিত্র দেশগুলির অর্থনীতিতে৷
রুশ উপ পররাষ্ট্রমন্ত্রী মধ্যপ্রাচ্যে উত্তেজনার জন্য ওয়াশিংটনকে দায়ী করে বলেন, ইরানের তেল রফতানির নিষেধাজ্ঞা তুলতে হবে৷ রাশিয়া এর আগেও নিষেধাজ্ঞার মধ্যে ইরানকে তেল রপ্তানিতে সহযোগিতা করেছে বলেও জানিয়েছেন তিনি৷