ইরানের কারাগারে বন্দি মার্কিন নাগরিক বাকুয়ের নমাজিকে চারদিনের জন্য মুক্তি দেয়া হয়েছে। মানবিক দিক বিবেচনা করে তেহরান কর্তৃপক্ষ রোববার তার মুক্তি মঞ্জুর করে। দেশটির কারাগারে বন্দি থাকা আমেরিকান নাগরিক গ্রুপের সবচেয়ে বয়স্ক হচ্ছেন তিনি। খবর এএফপি’র।
এ আমেরিকান নাগরিকের আইনজীবী জারেদ জেন্সার জানান, ৮১ বছর বয়সী নমাজি এ সময় ইরান ত্যাগ করতে এবং সংবাদমাধ্যমের সাথে কথা বলতে পারবেন না। তিনি ইউনিসেফের একজন সাবেক কর্মকর্তা ছিলেন। তার ছেলে বিজনেস কনসালটেন্ট সিয়ামাক নমাজি এখনো কারাগারে রয়েছেন। তাদের দু’জনেরই ইরান ও আমেরিকার দ্বৈত নাগরিকত্ব রয়েছে।
জেন্সার জানান, তার রক্তচাপ ‘অনেক’ কমে গেছে। এছাড়া হৃদস্পন্ধন অনিয়মিত হওয়ার পাশাপাশি শক্তি কমে ফ্যাকাশে হয়ে যাওয়ার পর গত ১৫ জানুয়ারি নমাজিকে হাসপাতালে নেয়া হয়। উল্লেখ্য, গত বছর তাকে চারবার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।গত সেপ্টেম্বর মাসে পেসমেকার স্থাপনে জরুরি ভিত্তিতে হৃদযন্ত্রে অস্ত্রোপচার করা হয়।
এক বিবৃতিতে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র হিথার নয়ের্ট বলেন, ‘আমরা শারীরিক অবস্থার অবনতির জন্য বাকুয়ের নমাজিকে মুক্তি দেয়াকে স্বাগত জানাচ্ছি। তবে আমরা জেনেছি যে তার মুক্তি সাময়িক।’
‘আমরা তার ছেলেসহ নমাজি পরিবারকে সম্পূর্ণভাবে দ্রুত মুক্তি দেয়ার আহবান জানাচ্ছি। এর পাশাপাশি ইরান সরকারের অন্যায়ভাবে আটক করা অপর মার্কিন নাগরিকদেরকেও ছেড়ে দেয়ার আহবান জানাচ্ছি।’
মার্কিন সরকারকে গোপন তথ্য দেয়ার দায়ে নমাজিকে ১০ বছরের কারাদ– দেয়া হয়।