ইরানের আইআরজিসি নিজস্ব প্রযুক্তিতে তৈরি একটি স্বল্পপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র উদ্বোধন করেছে। হেলিকপ্টারে স্থাপনযোগ্য এই ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে ভূমিতে অবস্থিত যেকোনো লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানা যাবে।ফার্সি ভাষায় এই ক্ষেপণাস্ত্রের নাম দেয়া হয়েছে অজারাখ্শ যার অর্থ বজ্র। বুধবার তেহরানে আইআরজিসি’র কমান্ডার মেজর জেনারেল মোহাম্মাদ আলী জাফারি এই ক্ষেপণাস্ত্রের মোড়ক উন্মোচন করেন।
১২৭-মিলিমিটার ক্যালিবারের এই ক্ষেপণাস্ত্রের ওজন প্রায় ৭০ কেজি এবং এটির দৈর্ঘ্য ৩,০৯৬ মিলিমিটার। আকাশ থেকে ভূমিতে অথবা ভূমি থেকে ভূমিতে নিক্ষেপযোগ্য এ ক্ষেপণাস্ত্র সেকেন্ডে ৫৫০ মিটার গতিতে ছুটে গিয়ে সর্বোচ্চ ১০ কিলোমিটার দূরবর্তী লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানতে সক্ষময়। ক্ষেপণাস্ত্রটিতে থার্মোগ্রাফিক ডিটেক্টর বসানো রয়েছে।
ইরানের আইআরজিসি’র উপ-প্রধান ইসমাইল কায়ানি বলেছিলেন, তার দেশ এখন বিশ্বের গুরুত্বপূর্ণ শক্তি এবং যুক্তিই তাদের প্রধান অস্ত্র। বিশ্বের সাম্রাজ্যবাদী শক্তি ইরানের যুক্তির কাছে হার মেনেছে। গোটা বিশ্বই এখন এটা বিশ্বাস করে যে, আমেরিকা যুক্তি ও আলোচনার পক্ষে নয়। সবাই জানে মার্কিন সরকার ইরানের সঙ্গে পরমাণু সমঝোতায় সই করে তা মানেনি। ইরান প্রতিরক্ষার জন্য অস্ত্র উৎপাদন ও ক্ষেপণাস্ত্র শক্তি বাড়াবে। এ ক্ষেত্রে কারো অনুমতির প্রয়োজন নেই। এ অবস্থায় কেউ যদি অযৌক্তিক কাজ করে তাহলে তাদেরকে দাঁতভাঙা জবাব দেওয়া হবে।
ইরানের প্রেসিডেন্ট ড. হাসান রুহানি বলেছিলেন ক্ষেপণাস্ত্রসহ প্রতিরক্ষা ও সামরিক সরঞ্জাম তৈরির জন্য আমরা কারো অনুমতি নেব না। শুধু তাই নয়, এই বিষয়ে কারো সঙ্গে কোনো আলোচনা করব না। এই অঞ্চলের নিরাপত্তার জন্য বাইরের কোনো দেশ ও শক্তির প্রয়োজন নেই। ইরান এ ক্ষেত্রে প্রতিবেশী দেশগুলোর সঙ্গে সহযোগিতা করতে প্রস্তুত রয়েছে। ইরানের বিরুদ্ধে আমেরিকার সাম্প্রতিক নানা তৎপরতা প্রসঙ্গে তিনি বলেছেন, ইরানের ক্ষতি করতে গিয়ে আমেরিকা নিজেই কোণঠাসা হয়ে পড়েছে এবং ইউরোপসহ বিশ্বের অধিকাংশ দেশ আমেরিকার এসব তৎপরতার নিন্দা জানিয়েছে।