ইরান তাদের পারমাণবিক কর্মসূচি নিয়ে ছয় বিশ্বশক্তির সঙ্গে করা চুক্তি মেনে চললেও দেশটিকে এখনও যুক্তরাষ্ট্রের জন্য বিপজ্জনক হুমকি বলেই মনে করেন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।
মার্কিন প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন এক কর্মকর্তা বলেছেন, ২০১৫ সালের পরমাণু চুক্তি ইরানের মেনে চলার বিষয়টি স্বীকার করে নেওয়ার পরও ট্রাম্প এবং পররাষ্ট্রমন্ত্রী রেক্স টিলারসন দুইজনেরই বিশ্বাস, “ইরান এখনও যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন স্বার্থ এবং আঞ্চলিক স্থিতিশীলতার জন্য বিপজ্জনক হুমকি।ট্রাম্প তার নির্বাচনী প্রচারে ইরানের ২০১৫ সালের পারমাণবিক চুক্তির অনেক সমালোচনা করলেও দেশটি যে এ চুক্তি মেনে চলছে তা দুইবার নিজমুখেই বলেছেন তিনি।
তারপরও ট্রাম্প প্রশাসনের কর্মকর্তারা সোমবার এক ব্রিফিংয়ে সাংবাদিকদের বলেছেন, ইরানের ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র কর্মসূচি এবং আঞ্চলিক উত্তেজনা বাড়ানোর কারণে দেশটির ওপর নতুন অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা আরোপের কথা বিবেচনা করা হচ্ছে।ইরানের বিরুদ্ধে একগাদা অভিযোগের তালিকা দিয়েছেন ঊর্ধ্বতন এক মার্কিন কর্মকর্তা। এর মধ্যে ইরানের ব্যলিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র উন্নয়ন ও বিস্তারের বিষয়টি ছাড়াও আছে ওই অঞ্চলে ইরানের আচরণের বিষয়টি এবং সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদে ইরানের সমর্থনের অভিযোগ। পাশাপাশি সিরিয়ায় ইরানের নৃশংসতা এবং উপসাগরের জলপথে ইরান যে হুমকি সৃষ্টি করে রেখেছে সে বিষয়টিও এ তালিকায় আছে।
কর্মকর্তা বলেন, ইরানের এই সমস্ত কর্মকাণ্ড তাদের পারমাণবিক চুক্তি বা জয়েন্ট কম্প্রিহেনসিভ প্ল্যান অব অ্যাকশন (জেসিপিওএ) মেনে চলার অভিপ্রায় মারাত্মকভাবে ক্ষুন্ন করেছে। যে চুক্তির বদৌলতে আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক শান্তি ও নিরাপত্তা সুরক্ষিত থাকার কথা ছিল, ইরানের ওইসব কর্মকাণ্ডে তা বিঘ্নিত হচ্ছে। আর সে কারণেই ইরান ওই চুক্তি কার্যকরভাবে মেনে চলায় প্রশ্নাতীতভাবে ব্যর্থ হয়েছে বলে ধরে নিচ্ছে ট্রাম্প প্রশাসন।