বিশ্বজুড়ে আতঙ্ক ছড়িয়ে মুখোমুখি অবস্থানে দাঁড়িয়ে আছে ইরান-যুক্তরাষ্ট্র। চলছে পাল্টাপাল্টি হুমকি আর বাকযুদ্ধ। এরই মধ্যে ইরান থেকে তেল আমদানি বন্ধ না করলে যে কোনো দেশের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপের হুমকি দিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। কিন্তু যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞা স্বত্ত্বেও আগামী নভেম্বরেই ৯০ লাখ ব্যারেল ইরানি তেল আমদানি করতে যাচ্ছে ভারত। এদিকে, ইরানি তেল আমদানি বন্ধের আবেদন নিয়ে চলতি সপ্তাহে ভারতে এক শীর্ষ মার্কিন দূতকে পাঠাতে পারে যুক্তরাষ্ট্র। আজ দেশটির সংবাদমাধ্যম কলকাতা টুয়েন্টিফোর’র এক প্রতিবেদনে এ খবর জানা গেছে।
এদিকে, এরই মধ্যে ইরানি অপরিশোধিত তেল আমদানি বন্ধের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন জাপানের প্রধান ব্যবসায়ীরা। বিশ্লেষকরা বলছেন, ইরানি অপরিশোধিত তেল আমদানিকারক দেশগুলোর ওপর ওয়াশিংটনের নিষেধাজ্ঞা ঘোষণার কারণে এ সিদ্ধান্ত নিচ্ছেন দেশটির ব্যবসায়ীরা। জাপানের স্থানীয় সংবাদমাধ্যম বলছে, জাপানের তেল কোম্পানিগুলো ইরানি অপরিশোধিত তেল আমদানি বন্ধের প্রস্তুতি নিচ্ছে। এছাড়া ঘাটতি পূরণে তারা অন্য কোথাও থেকে আমদানি বাড়ানোর ওপর গুরুত্ব দিচ্ছে।
গুঞ্জন উঠেছে শীর্ষ তেল উৎপাদনকারী দেশ ইরানের দ্বিতীয় বৃহৎ ক্রেতা ভারত নিষেধাজ্ঞার হুমকি স্বত্ত্বেও দেশটি থেকে তেল আমদানি অব্যাহত রেখেছে। যে নভেম্বর থেকে ইরানি তেল আমদানি করলে নিষেধাজ্ঞা আরোপের হুমকি দেওয়া হয়, সেই নভেম্বরেই ৯০ লাখ ব্যারেল ইরানি তেল আমদানি করতে যাচ্ছে ভারত।
উল্লেখ্য, চলতি বছরের মে মাসে ইরানের সঙ্গে পারমাণবিক চুক্তিটি থেকে সরে দাঁড়ান মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। এরপর গত মাসে ইরানের সঙ্গে বাণিজ্যে যুক্ত থাকা দেশগুলোর ওপর পুনরায় নিষেধাজ্ঞা আরোপ শুরু করেন তিনি। খবরে বলা হয়, নভেম্বরের পাঁচ তারিখ থেকে ইরানের অপরিশোধিত তেল ও ব্যাংকিং খাতের ওপর দ্বিতীয় ধাপের নিষেধাজ্ঞা পুনরায় বহাল রাখা হবে।