এক ইসরায়েলি সেনাকে চড় মারার অপরাধে ফিলিস্তিনি কিশোরী আহেদ তামিমিকে ৮ মাসের কারাদণ্ড দিয়েছে সামরিক আদালত। ইসরায়েলি সেনাকে তামিমির চড় মারার দৃশ্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়ে যায়। সারাবিশ্বে তিনি ফিলিস্তিনি প্রতিবাদের প্রতীক হয়ে ওঠেন।
গত ২০ ডিসেম্বর রামাল্লায় আহেদ তামিমি বাড়িতে দুই ইসরায়েলি সেনা চড়াও হন। সে সময় তামিমির সঙ্গে তাদের বিতর্ক বাঁধে। এক পর্যায়ে এক ইসরায়েলি সেনাকে চড় মারেন তামিমি। এরপর তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। ইসরায়েলি সেনাকে চড় মারার দৃশ্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আপ করার বিষয়টি অপরাধ হিসেবে বিবেচনা করেছে আদালত। একইসঙ্গে তাকে ৫ হাজার শেকেলস (ইসরায়েলি মুদ্রা) জরিমানা করা হয়েছে।
তামিমির বিচার হয়েছে গোপন আদালতে। তার বিরুদ্ধে চারটি অভিযোগ আনে ইসরায়েলের সামরিক আদালত। ইসরায়েলি সেনাকে লক্ষ্য করে পাথর নিক্ষেপ তার মধ্যে একটি। তামিমিকে গ্রেপ্তারের পর আন্তর্জাতিক বিশ্বে তার মুক্তির দাবি ওঠে। এমনকি যুক্তরাষ্ট্রে ইহুদি সম্প্রদায়ের পক্ষ থেকে তার মুক্তির দাবি তোলা হয়। বিভিন্ন সংগঠন তাকে জোয়ান অব আর্কের সঙ্গে তুলনা করে। অনলাইন প্রতিবাদে তার মুক্তির দাবিতে ১৭ লাখ মানুষ স্বাক্ষর করেন।
বৃহস্পতিবার সকালে সেনাবাহিনীর রেডিওকে দেয়া সাক্ষাৎকারে তামিমির আইনজীবি গ্যাবি ল্যাস্কি বলেন, যখন আদালত সিদ্ধান্ত নিয়েছে যে বন্ধ দরজার পেছনে বিচারকাজ চলবে, কিন্তু তো ততক্ষণেতো জনসমুক্ষে নানা ধরনের আলোচনা হয়ে গেছিল। আমরা বুঝতে পারি যে আহেদের ন্যায় বিচার পাওয়ার সম্ভাবনা নেই।