ডিএমপি নিউজ: ডিএমপি কমিশনার খন্দকার গোলাম ফারুক বিপিএম-বার, পিপিএম বলেন, পবিত্র ঈদ-উল-আযহা উপলক্ষে জাতীয় ঈদগাহে থাকবে তিন স্তরের নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তা ব্যবস্থা। এর পাশাপাশি অনলাইনেও সক্রিয় থাকবে ডিএমপির সাইবার ইউনিটগুলো।
আজ বুধবার সকাল ১০টায় জাতীয় ঈদগায় ডিএমপির গৃহীত নিরাপত্তা ব্যবস্থা পরিদর্শন শেষে উপস্থিত সাংবাদিকদের এ কথা বলেন ডিএমপি কমিশনার।
তিনি বলেন, জাতীয় ঈদগায় ডিএমপির বোম্ব ডিসপোজাল ইউনিট ও ডগ স্কোয়াড দিয়ে সুইপিং করানো হচ্ছে। ইউনিফর্মধারী পুলিশের পাশাপাশি সাদা পোশাকে পর্যাপ্ত সংখ্যক পুলিশ মোতায়েন থাকবে। পুরো এলাকা সিসিটিভি ক্যামেরার আওতায় থাকবে।
তিনি আরো বলেন, নামাজ পড়তে আসা মুসল্লিরা জায়নামাজ ও ছাতা ব্যতীত কোন কিছু সঙ্গে আনতে পারবেন না। এছাড়া নিরাপত্তার স্বার্থে ঈদগাহে প্রবেশের পূর্বে সবাইকে তল্লাশি করা হবে। তাই সবাই ধৈর্য্য সহকারে পুলিশকে সহযোগিতা করার অনুরোধ করেন তিনি।
সম্মানিত নগরবাসীকে ঈদের শুভেচ্ছা জানিয়ে ডিএমপি কমিশনার বলেন, আগামীকাল পবিত্র ঈদ-উল-আযহা উদযাপিত হতে যাচ্ছে। ঢাকা শহরে বিভিন্ন জায়গায় ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হবে। এর মধ্যে বৃহত্তম জামাত হবে জাতীয় ঈদগায়। এই মাঠে রাষ্ট্রের অনেক গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিসহ কয়েক লক্ষ লোক ঈদের নামাজ পড়তে আসবেন। ধর্মপ্রাণ মুসল্লিরা বৃষ্টির মধ্যেও যাতে নির্বিঘ্নে ঈদের নামাজ আদায় করতে পারেন তার জন্য ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের মাননীয় মেয়র সুন্দর ব্যবস্থা করে দিয়েছেন। ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ প্রত্যেকটা ঈদের জামাতের নিরাপত্তায় নিয়োজিত থাকবে।
তিনি আরো বলেন, যে কোন জঙ্গি সংগঠনের হুমকি চিহ্নিত করতে সিটিটিসি সব সময় প্রস্তুত রয়েছে। এছাড়া কোন অপশক্তির অন্য কোন পরিকল্পনা আছে কিনা তার খুঁজে বের করতে ডিবি ও সিটিটিসি সাইবার ইউনিটগুলো সার্বক্ষণিক সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম মনিটরিং করছে।
সাংবাদিকের এক প্রশ্নের জবাবে ডিএমপি কমিশনার বলেন, জঙ্গি হামলার সুনির্দিষ্ট কোন তথ্য নেই, তবে আমরা সবসময় জঙ্গিদের মোকাবেলা করার জন্য প্রস্তুত আছি।
ঈদে ফাঁকা ঢাকার নিরাপত্তা ব্যবস্থা সম্পর্কে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নোত্তরে ডিএমপি কমিশনার বলেন, গত ঈদুল ফিতরেও আমরা পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করেছিলাম। আমরা এবারও সেই নিরাপত্তা ব্যবস্থা বজায় রাখবো।
জাতীয় ঈদগায় নিরাপত্তা ব্যবস্থা পরিদর্শনকালে ডিএমপির অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (অ্যাডমিন) এ কে এম হাফিজ আক্তার বিপিএম-বার; অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ক্রাইম অ্যান্ড অপারেশনস) ড. খঃ মহিদ উদ্দিন বিপিএম-বার; অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম) মোঃ আসাদুজ্জামান বিপিএম (বার); অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ট্রাফিক) মোঃ মুনিবুর রহমান; যুগ্ম-পুলিশ কমিশনারগণ, উপ-পুলিশ কমিশনারগণ, ডিএমপির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ এবং প্রিন্ট ও ইলেক্ট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।