রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ বলেছেন, একটি শান্তিপূর্ণ ও বন্ধুত্বপূর্ণ সমাজ গড়ে তুলতে এবং ধনী, দরিদ্র, বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ ও সুবিধাবঞ্চিত লোকসহ সকল মানুষকে একটি ছাতার নিচে নিয়ে আসার সুযোগ সৃষ্টি করে দেয় ঈদুল ফিতর।
রাষ্ট্রপতি বলেন, মাসব্যাপী রমজান শেষে ঈদ ধনী দরিদ্র, বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ এবং সুবিধাবঞ্চিতসহ সমাজের সকল শ্রেণীর মানুষের মধ্যে ভালবাসা, সম্প্রীতি ও ঐক্যের সম্পর্ক গড়ে তোলার সুযোগ তৈরি হয়।
তিনি আজ সকালে বঙ্গভবনে মুসলমানদের সর্ববৃহৎ ধর্মীয় উৎসব পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষে আয়োজিত এক সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এ কথা বলেন।
রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ এবং তার স্ত্রী রাশিদা খানম আজ সকাল ১০টা থেকে দুপুর পর্যন্ত সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে ঈদ শুভেচ্ছা বিনিময় করেন।
রাষ্ট্রপতি ইসলামকে শান্তি ও সমৃদ্ধির ধর্ম হিসাবে উল্লেখ করে বলেন, ইসলামে হিংসা, ভেদাভেদ ও সন্ত্রাসের কোন ঠাঁই নেই এবং ইসলাম কখনো জঙ্গিবাদকে সমর্থন জানায় না।
রাষ্ট্রপতি ঈদুল ফিতরের শিক্ষা একটি সুখী ও সমৃদ্ধশালী বাংলাদেশ গড়তে সহায়তা করবে বলে আশা প্রকাশ করেন।
সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে স্পিকার ড. শিরিন শারমিন চৌধুরী, প্রধান বিচারতি এস কে সিনহা, কয়েকজন মন্ত্রী, প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টাবর্গ, সংসদ সদস্যবর্গ, বিচারকগণ, বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃন্দ এবং তিন বাহিনীর প্রধানগণ, পুলিশের আইজি, ব্যবসায়ী নেতৃবৃন্দ, ধর্মীয় ব্যক্তিত্ব, সিনিয়র সাংবাদিকগণ, শিল্পী, পদস্থ বেসামরিক ও সামরিক কর্মকর্তাগণ যোগ দেন। এছাড়া অনুষ্ঠানে বাংলাদেশে নিযুক্ত কূটনৈতিক কোরের ডীন, বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রদূতগণ ও হাইকমিশনারগণ এবং আন্তর্জাতিক সংস্থার প্রধানগণও যোগ দেন।