উচ্চ রক্তচাপ সব বয়সী মানুষকে স্বাস্থ্য ঝুঁকির মাঝে রাখে। কোলেস্টরল বৃদ্ধি, মানসিক চাপ ইত্যাদির কারণে ইদানিং অনেক কম বয়সী মানুষকেও উচ্চ রক্ত চাপের সমস্যায় ভুগতে দেখা যায়। চিকিৎসকরা বলেন, হাই ব্লাড প্রেসার থাকা শরীরের পক্ষে বেশি ক্ষতিকারক। এতে হার্ট অ্যাটাক, সেরেব্রাল অ্যাটাক বা স্ট্রোক হওয়ার সম্ভাবনা বেশি। রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণের জন্য আমরা সব সময়ই নির্ভর করি ডাক্তার আর ওষুধের ওপর।
উচ্চ রক্তচাপ বা হাইপারটেনশনে নিয়ন্ত্রণে লবণ, ফ্যাট এবং ক্যালোরি জাতীয় খাবার এড়িয়ে চলতে হবে। সেই সঙ্গে নিয়মিত খাদ্যাভাসে শাকসবজি, ফলমূল এবং চর্বিযুক্ত প্রোটিন বাড়াতে হবে।
উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখতে অ্যালকোহল ও ক্যাফেইন জাতীয় পানীয় থেকে দূরে থাকারও পরামর্শ দেন বিশেষজ্ঞরা। তবে কিছু কিছু পানীয় উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে ভূমিকা রাখে।
আসুন তাহলে জেনে নেই কোন কোন পানীয় উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করে-
লেবু পানি : স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের মতে, সকালের শুরুটা এক গ্লাস লেবু পানি দিয়ে শুরু করলে তা গোটা শরীরের জন্য উপকারী। লেবু পানি শরীর থেকে টক্সিন দূর করে। এটি রক্তনালী নরম এবং নমনীয় করে তোলে, রক্তচাপ কমায়। লেবুর পানিতে থাকা ভিটামিন সি অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট হিসাবে কাজ করে এবং শরীর থেকে ফ্রি-রেডিক্যালগুলো দূর করে। প্রতিদিন সকালে এক গ্লাস লেবু পানি শরীরে রক্তচাপের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে থাকে।
মেথির পানি : মেথি বা মেথির পানিতে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার থাকে, যা রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখতে সহায়তা করে। প্রতিদিন সকালে খালি পেটে মেথির পানি পান করলে রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে থাকে।
অ্যাপেল সিডার ভিনেগার : সব ধরনের ভিনেগারের মধ্যে আপেল সিডার ভিনেগার সবচেয়ে উপকারী। পটাশিয়াম সমৃদ্ধ এ ভিনেগার শরীর থেকে অতিরিক্ত সোডিয়াম ও টক্সিন বের করে দেয়। এতে রেনিন এনজাইমের উপস্থিতি থাকায় এটি রক্তচাপ হ্রাস করে। উচ্চ রক্তচাপ কমাতে এক গ্লাস পানিতে সামান্য মধুর সঙ্গে আপেল সিডার ভিনেগার মিশিয়ে পান করতে পারেন।
ফ্যাটবিহীন দুধ : কম ফ্যাটযুক্ত কিংবা ফ্যাটবিহীন দুধ শরীরে পটাশিয়াম ও ক্যালসিয়াম সরবরাহ করে। এ দুটি উপাদানই উচ্চ রক্তচাপ কমানোর সহায়ক হিসেবে কাজ করে।