ঢাকার উত্তরখানে গ্যাসের চুলা থেকে লাগা আগুনে দগ্ধ আরেকজন ঢাকা মেডিকেলে কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন।তার নাম মুসলিমা বেগম (২০)।
সে শনিবার সন্ধ্যায় মারা যান। মুসলিমার শরীরের ৯৮শতাংশ আগুনে দগ্ধ হয়েছিল। সকালে সাড়ে ১০ টার দিকে মারা যান মুসলিমার স্বামী মো. আজিজুল ইসলাম (২৭)।
চিকিৎসাধীন দগ্ধরা হলেন- সুফিয়া বেগম (৫০) ও তার মেয়ে আফরোজা আক্তার পূর্ণিমা (৩০), পূর্ণিমার ছেলে সাগর (১২), আজিজুলের বোন আঞ্জু আরা (২৫) ও তার স্বামী ডাবলু মোল্লা (৩৩), তাদের ছেলে আব্দুল্লাহ সৌরভ (৫)। এদের মধ্যে আনজু ও আব্দুল্লাহ ছাড়া বাকিদের অবস্থা গুরুতর।
শনিবার ভোরে অগ্নিকাণ্ডের পর আহতদের উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে ভর্তি করেছে ফায়ার সার্ভিস। ভোর ৪টার দিকে উত্তরখানের ব্যাপারীপাড়ার একটি তিনতলা ভবনের নিচতলায় গ্যাস লাইনের লিকেজ থেকে আগুন লাগে বলে উত্তরা ফায়ার স্টেশনের জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা শফিকুল ইসলাম জানিয়েছেন।আহতদের বরাত দিয়ে তিনি বলেন, “ভোরে রান্না ঘরের চুলা জ্বালতে গেলে পুরো ঘরে আগুন লেগে যায়।”
আহতদের মধ্যে চার নারী, তিন পুরুষ ও এক শিশু।তাদের মধ্যে ছয়জনের অবস্থা গুরুতর বলে চিকিৎসকরা জানিয়েছেন। আহতরা তিনটি পরিবারের এবং একে অপরের আত্মীয়। তাদের মধ্যে কেউ রিকশাচালক কেউ পোশাক শ্রমিক। তাদের সবার বাড়ি পাবনার ভাঙ্গুরায়।