ঢাকা মহানগরী ও পার্শ্ববর্তী এলাকার যানজট নিরসনে গৃহিত বাস র্যাপিড ট্রানজিট প্রকল্পের আওতায় উত্তরা হাউজবিল্ডিং হতে টঙ্গী চেরাগআলী পর্যন্ত প্রায় সাড়ে চার কিলোমিটার দীর্ঘ উড়াল সেতু এবং দশলেন বিশিষ্ট টঙ্গী সেতু নির্মাণকাজ শুরু হতে যাচ্ছে।
এ লক্ষ্যে আজ বৃহষ্পতিবার সেতু ভবনে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের উপস্থিতিতে সেতু বিভাগের সাথে চীনের নির্মাণ ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়।
চুক্তিপত্রে বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষের প্রধান প্রকৌশলী কবির আহমেদ এবং জিয়াংসু প্রোভিন্সিয়াল ট্রান্সপোর্টেশন ইঞ্জিনিয়ারিং গ্রুপ কোম্পানি লিমিটেডের চেয়ারম্যান ঝাং শিয়াও য়্যু নিজ নিজ পক্ষে সই করেন।
এসময় ওবায়দুল কাদের জানান, চুক্তি অনুযায়ী সাড়ে চার কিলোমিটার এলিভেটেড ফ্লাইওভার এবং টঙ্গী সেতু নির্মাণে ব্যয় হবে প্রায় নয়শত পঁয়ত্রিশ কোটি টাকা। উড়ালসেতুটি সাড়ে তিন কিলোমিটার হবে ছয়লেনের এবং এক কিলোমিটার হবে দুইলেনের। এ সময়ে আগামী ত্রিশ মাসের মধ্যে ফ্লাইওভার ও সেতুর নির্মাণকাজ শেষ করবে বলে আশা প্রকাশ করেন মন্ত্রী।
চুক্তিসই অনুষ্ঠানে সেতু বিভাগের সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম, পদ্মা বহুমুখী সেতু নির্মাণ প্রকল্পের পরিচালক শফিকুল ইসলাম, বিআরটি নির্মাণ প্রকল্পের পরিচালক ইঞ্জিনিয়ার সানাউল হকসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।