জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদ বলেছে যে তারা জাপানের উপর উত্তর কোরিয়ার ব্যালিস্টিক ক্ষেপনাস্ত্র নিক্ষেপের ঘটনার তীব্র নিন্দা করছে এবং দেশটিকে ব্যালিস্টিক ক্ষেপনাস্ত্র ও পরমাণু অস্ত্র কর্মসূচি বন্ধের দাবি জানিয়েছে। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় এক জরুরি বৈঠকে এই প্রস্তাব নেওয়া হয়।
এ দিকে উত্তর কোরিয়া জাপানের উপর ব্যালিস্টিক ক্ষেপনাস্ত্র নিক্ষেপের কথা স্বীকার করে বলেছে যে এর লক্ষ্য ছিল বর্তমানে দক্ষিণ কোরিয়া ও যুক্তরাষ্ট্র যে যৌথ মহড়া চালাচ্ছে তার বিরোধীতা করা।
বুধবার সকালে পিয়ংইয়ং এর সরকারী বার্তা সংস্থা Korean Central News Agency (KCNA) তাদের নেতা কিম জং উনকে উদ্ধৃত করে বলছে যে Hwasong-12 নামের মাঝারি পাল্লার এই ক্ষেপনাস্ত্র নিক্ষেপ ছিল প্রকৃত যুদ্ধ পরিস্থিতির মতোই । এটি ছিল প্রশান্ত মহাসাগর এলাকায় উত্তর কোরিয়ার সামরিক অভিযানের প্রথম পদক্ষেপ এবং গুয়ামকে নিয়ন্ত্রণ রাখার একটি অর্থবহ সূচনা ।
উত্তর কোরিয়ার সর্ব সাম্প্রতিক ক্ষেপনাস্ত্র নিক্ষেপের পর মঙ্গলবার দিনে আরো আগের দিকে প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প এক বিবৃতিতে বলেন , সকল বিকল্পই আমাদের বিবেচনায় রয়েছে। হোয়াইট হাউজ প্রকাশিত ঐ বিবৃতিতে ট্রাম্প বলেন উত্তর কোরিয়া তার প্রতিবেশীদের, জাতিসংঘের সকল সদস্যদের এবং আন্তর্জাতিক আচরণের নিম্নতম গ্রহণযোগ্য মানের প্রতি অবজ্ঞার ইঙ্গিত দিয়েছে ।
এ দিকে মঙ্গলবার সন্ধ্যায় জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের জরুরি বৈঠকে যুক্তরাষ্ট্রের দূত নিকি হ্যালি বলেন পিয়ংইয়ং নিরাপত্তা পরিষদের প্রতিটি প্রস্তাবকে লংঘন করেছে এবং তার কর্মকান্ডের বিরুদ্ধে বিশ্ব এখন একত্রিত ।