ভয়ংকর গতিতে বাড়ছে মৃত্যুর সংখ্যা। প্রথমে ২০০০, পরে ৫০০০, তার পরে ১০০০০! এখন গতিপ্রকৃতি যেদিকে তাতে মৃত্যুর সংখ্যা ২০ হাজার ছুঁই-ছুঁই বলেই আশঙ্কা। এর মধ্যে বিদেশি আছেন ৪০০ জন। ক্লাইমেট চেঞ্জ যে ক্রমশ ভয়াবহ হয়ে উঠছে, সেটা ক্রমে অনুভূত হচ্ছে। এখন পৃথিবী জুড়ে কোনও না কোনও দেশের কোনও না কোনও অংশে লেগেই থাকে প্রাকৃতিক দুর্যোগ। এখন যেমন লিবিয়ায় চলছে ঝড়ের ভয়ংকর নাচনকোঁদন। জলস্রোতে ভেসে গিয়েছে পুরো এলাকাই!
লিবিয়ান ন্যাশনাল আর্মির (এলএনএ) মুখপাত্র আহমেদ মিসমারি সোমবার সংবাদ সম্মেলনে বলেছিলেন, শুধু ডেরনা শহরেই ২০০০-এর বেশি মানুষ মারা গিয়েছেন। ৫০০০ থেকে ৬০০০ মানুষ এখনও নিখোঁজ। স্থানীয় সরকারপ্রধানকে উদ্ধৃত করে লিবিয়ান নিউজ এজেন্সি জানিয়েছিল, লিবিয়ার পূর্বাঞ্চলীয় শহর ডেরনায় ২০০০-এর বেশি মানুষ মারা গিয়েছেন।
লিবিয়ায় রেড ক্রিসেন্টের একজন কর্মকর্তা বলেছেন, মারা গেছে প্রায় ১০ হাজারের মতো মানুষ। অন্যদিকে ডেরনার মেয়র দাবি করেছেন যে সম্ভবত ২০ হাজার মানুষ প্রাণ হারিয়েছে। মৃতের সংখ্যা লাফিয়ে লাফিয়ে বেড়েছে। বেড়েছে নিখোঁজের সংখ্যাও। এবং এখনও বাড়ছে।
পুরো লিবিয়া প্লাবনে ভেসে গিয়েছে। লিবিয়ার আল-বায়দা, ডেরনা, আল-মারজ, তোবরুক, টেকনিস, আল-বায়দা, আল-জাবাল আল-আখদার এবং পূর্বাঞ্চলীয় সমস্ত শহর ও গ্রাম নজিরবিহীনভাবে প্লাবিত হয়ে গিয়েছে। শহরের দক্ষিণে দুটি বাঁধ ভেঙে গিয়ে বন্যার তীব্রতা ও ধ্বংসক্ষমতা আরও বেশি হয়েছে। তিনটি সেতু ধ্বংস হয়ে গিয়েছে। প্রবাহিত জল আশপাশের সব এলাকাকে ভাসিয়ে দিয়েছে এবং এলাকা থেকে সমস্ত ধ্বংসাবশেষ সমুদ্রে নিয়ে গিয়ে ফেলেছে।
সোমবারই ঝড় ও বন্যার কারণে সংশ্লিষ্ট এলাকাকে ‘দুর্যোগক্লিষ্ট অঞ্চল’ হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছিল। সংশ্লিষ্ট সকলে এই বন্যাকে বলছে, ক্যাটাস্ট্রফিক ফ্লাড। মানচিত্র থেকে মুছে গেল মেডিটেরানিয়্যান সিটি?-জি নিউজ