বর্তমানে নিরাপত্তা সুদৃঢ় করতে সিসি ক্যামেরার বিকল্প কিছুই নেই। অফিস, বাসা, মার্কেট, ভবনসহ বিভিন্ন স্থানে নিরাপত্তায় ব্যবহার হচ্ছে সিসি ক্যামেরা। নিরাপত্তা কিংবা নজরদারি- যেভাবেই বলা হোক না কেন আধুনিক বিশ্বে এর অন্যতম অনুষঙ্গ সিসিটিভি ক্যামেরা।
চীন তাই পরিকল্পনা নিয়েছে পুরো দেশকেই ক্যামেরার আওতায় নিয়ে আসার। গড়ে তোলা হচ্ছে বিশ্বের সবচেয়ে বড় ‘ক্যামেরা নজরদারি নেটওয়ার্ক’। পুরো দেশে ইতোমধ্যেই স্থাপন করা হয়েছে প্রায় সতেরো কোটি ক্যামেরা।
আর পরবর্তী তিন বছরে স্থাপনের পরিকল্পনা রয়েছে আরও প্রায় ৪০ কোটি সিসিটিভি ক্যামেরা। যেগুলো নিয়ন্ত্রণ করবে উচ্চ প্রযুক্তি সম্পন্ন পুলিশ কন্ট্রোল রুম।
সম্প্রতি এ ধরনের ক্যামেরা দিয়ে গুইয়াং শহরের একটি পুলিশ কন্ট্রোল রুমে কি ধরনের কাজ হয় তা দেখার সুযোগ পেয়েছেন বিবিসির এক সংবাদদাতা। এখানে শহরের অধিবাসীদের প্রত্যেকের ছবিসহ তথ্য ডিজিটাল পদ্ধতিতে সংরক্ষিত আছে।
পুরো চীন জুড়েই স্থাপন করা ক্যামেরার রয়েছে বিশেষ দক্ষতা যাতে বলা হয় কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা। কিছু ক্যামেরার মনোভাব বুঝতে পারার ক্ষমতা অর্থাৎ ফেস রিডিং দক্ষতা আছে।
আবার কিছু ক্যামেরা বয়স, নৃতাত্ত্বিক বৈশিষ্ট্য ও লিঙ্গ সম্পর্কে ধারণা করতে পারে। চীনেই বহু কারখানায় তৈরি হচ্ছে মুখ দেখে সনাক্ত করতে পারে এমন ক্যামেরা। -বিবিসি বাংলা।