পরমাণু গবেষণা কেন্দ্রে উত্তরোত্তর নির্মাণকাজ চালিয়ে যাচ্ছে উত্তর কোরিয়া। স্যাটেলাইট চিত্রের ভিত্তিতে ৩৮ নর্থ শীর্ষক ওয়েবসাইট গতকাল বুধবার এ দাবি করে। অথচ এ মাসেই উত্তর কোরিয়ার সর্বোচ্চ নেতা কিম জং উন তাঁর দেশকে পরমাণু অস্ত্রমুক্ত করার অঙ্গীকার করেছেন।
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে গত ১২ জুন সিঙ্গাপুরের বৈঠকে উত্তর কোরিয়ার নেতা উন তাঁর দেশকে সম্পূর্ণ পরমাণু অস্ত্রমুক্ত করার অঙ্গীকার করেন। তবে সে সময় এ অঙ্গীকার পূরণের কোনো সময়সীমা বা নির্দিষ্ট প্রক্রিয়া নির্ধারণ করা হয়নি। এ নিয়ে খোদ ট্রাম্পসহ বিভিন্ন নেতা এবং বিশ্লেষকদের নানামুখী বক্তব্যের মধ্যে গতকাল ৩৮ নর্থ জানায়, উত্তর কোরিয়ার অন্যতম পরমাণু গবেষণা কেন্দ্র ইয়ংবিওনে শুধু চলতি কাজ অব্যাহত আছে, তা-ই নয়, সেখানে নতুন অবকাঠামো নির্মাণের কাজও চলছে পুরোদমে। গত ২১ জুন স্যাটেলাইট থেকে তোলা ছবির ভিত্তিতে এ তথ্য নিশ্চিত হওয়া গেছে বলে ওয়েবসাইটে জানানো হয়। ইয়ংবিওনের ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণ প্রকল্পে নতুন স্থাপনার মধ্যে একটি প্রকৌশল কার্যালয় এবং একটি নতুন সড়ক রয়েছে। সড়কটি যে ভবনে গিয়ে ঠেকেছে, সেটাতেই রয়েছে পরমাণু চুল্লি।
সিঙ্গাপুরে বৈঠকের পর ট্রাম্প দাবি করেছিলেন, উত্তর কোরিয়ার দিক থেকে আর কোনো পরমাণু হুমকি নেই। আর শুক্রবার উল্টো দাবি করে তিনি বলেন, উত্তর কোরিয়া এখনো মারাত্মক হুমকি। এ হুমকি মোকবেলায় তিনি উত্তর কোরিয়ার বিরুদ্ধে চলমান নিষেধাজ্ঞার মেয়াদ বাড়িয়ে দেন। এর জবাবে উত্তর কোরিয়া কড়া কথা বলার পরিবর্তে জানিয়েছে, তারা যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে নতুন যুগের সূচনা করতে চায়।
উত্তর কোরিয়ার পরমাণু নিরস্ত্রীকরণের প্রক্রিয়া ঠিক করতে আলোচনা চালানোর চেষ্টা করছেন যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেও। এদিকে আজ বৃহস্পতিবার যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষামন্ত্রী জেমস ম্যাটিস উত্তর কোরিয়ার প্রতিবেশী রাষ্ট্রে যাচ্ছেন। না বললেই নয়, সিঙ্গাপুরে ট্রাম্প-কিম বৈঠক বাস্তবায়নে অন্যতম সক্রিয় ভূমিকা রেখেছেন দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট মুন জায়ে ইন। এশিয়া সফরের অংশ হিসেবে ম্যাটিস চীন থেকে দক্ষিণ কোরিয়ার উদ্দেশে রওনা হন। সেখান থেকে তিনি যাবেন জাপানে।