একবার, দু’বার, তিনবার নয়, একেবারে টানা চারবার ফ্রান্সের বর্ষসেরা ফুটবলার হলেন কিলিয়ান এমবাপে (Kylian Mbappe)। পিএসজি (PSG) মহারথী লিগ ওয়ান প্লেয়ার অফ দ্য ইয়ার (Ligue 1 Player of the Year) হয়ে জানিয়ে দিলেন যে আগামী মৌসুমে তাঁকে কোন ক্লাবে দেখা যাবে।
২৪ বছরের বিশ্বকাপ জয়ীকে নেওয়ার জন্য দীর্ঘদিন ধরেই টার্গেট করেছিল রিয়াল মাদ্রিদ (Real Madrid)। তবে রিয়াল সমর্থকদের আপাতত বুক ভেঙে দিলেন পিএসজি কিংবদন্তি। এমবাপে জানিয়ে দিলেন যে, তিনি থাকছেন ফ্রান্সেই। খেলবেন পিএসজি-র হয়েই।
পুরস্কার নেওয়ার পর এমবাপে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়েছিলেন। লিওনেল মেসি (Lionel Messi) ও ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডোর (Cristiano Ronaldo) পর ফুটবল গ্রহের সবচেয়ে বড় তারকা এমবাপে। সারা বিশ্ব জানে যে, তেকাঠিটি বড্ড ভালো চেনেন ভক্তের ‘নিনজা টার্টল’। ফ্রান্স নক্ষত্র বলেন, ‘আগামী বছর আমি পিএসজি-তেই খেলব। আমার এখনও চুক্তি রয়েছে। আমি আমার চুক্তির প্রতি শ্রদ্ধাশীল।’
গত মার্চে এমবাপে পিএসজি-র সর্বকালের সর্বোচ্চ গোলদাতা হয়েছেন।এই লিগ ওয়ানেই পিএসজি খেলতে নেমেছিল নানতেসের বিরুদ্ধে। ঘরের মাঠ পার্স দেস প্রিন্সেসে ৪-২ জয়ের রাতেই এমবাপে লিখেছিলেন ইতিহাস। ম্যাচের ৯২ মিনিটে এমবাপের পা থেকে এসেছিল গোল। আর পিএসজি-র হয়ে এটিই হয়ে যায় তাঁর ২০১তম গোল।
১৯৭০ সালে তৈরি হয় পিএসজি। ৫২ বছরের পুরনো ক্লাবে একমাত্র একজন ফুটবলারই গোলের ডাবল সেঞ্চুরি করতে পেরেছিলেন। তিনি এডিনসন কাভানি। উরুগুয়ের স্ট্রাইকারের ঝুলিতে ছিল কাঁটায় কাঁটায় ২০০ গোল। এমবাপে তাঁর গদি কেড়েই বসলেন সিংহাসনে। এমবাপে-কাভানির পর রয়েছেন জালাটন ইব্রাহিভোমিচ। ইব্রা করেছিলেন ১৫৬ গোল। এরপর চারে নেইমার জুনিয়র। ব্রাজিলের পোস্টারবয় করেছেন ১১৮ গোল। পাঁচে পর্তুগালের পেদ্রো মিগুয়েল পাউলেতা। তিনি পিএসজি-র জার্সিতে করেছিলেন ১০৯ গোল। এমবাপে দেশের জার্সির মতোই ক্লাবের জার্সিতেও ঝলসে ওঠেন। পিএসজি-তে প্রায় প্রতি ম্যাচেই রাখেন নিজের অবদান।-জি নিউজ