আশি ও নব্বইয়ের দশকে ভারত-পাকিস্তানে ব্যাপক জনপ্রিয় হয়ে ওঠেন প্রতিভাবান সংগীতশিল্পী নাজিয়া হাসান। ১৯৬৫ সালে পাকিস্তানের করাচিতে জন্ম হলেও তার কণ্ঠের প্রতিভা ছড়িয়ে পড়ে উপমহাদেশজুড়ে। তাকে বলা হয় এশিয়ার প্রথম নারী পপ তারকা। গান গাওয়ার পাশাপাশি তিনি গান লিখতেন এবং পেশাগত জীবনে ছিলেন আইনজীবী। এসবের বাইরে তুমুল জনপ্রিয়তা পান পপতারকা হিসেবে।
১৯৮১ সালে নাজিয়া হাসানের প্রথম গানের অ্যালবাম ‘ডিস্কো দিওয়ানে’ বিশ্বের ১৪টি দেশে মুক্তি পায়। সেই সময় এশিয়ার সবচেয়ে বেশি বিক্রিত গানের অ্যালবাম হিসেবে নাম লেখায়। ডিস্কো দিওয়ানে গানটি দীর্ঘ সময় টপচার্টে অবস্থান করে।
বলিউডের ‘কুরবানি’ ছবির ‘আপ য্যায়সা কোই …’ গানটি গেয়েছিলেন তিনি। অকালপ্রয়াত এই কণ্ঠশিল্পীর গান আশির দশকে তুমুল সাড়া জাগিয়েছিল। নাজিয়া হাসানের জন্ম পাকিস্তানের করাচিতে হলেও পরবর্তীতে তিনি যুক্তরাজ্যের লন্ডনে পড়াশোনা করেছিলেন।
পাকিস্তানের শিল্পী হওয়ার পরও নাজিয়া হাসান ভারতের মানুষের কাছে জনপ্রিয় একজন পপ সংগীতশিল্পী হিসেবে খুব অল্প সময়ের মধ্যেই নিজেকে মেলে ধরতে পেরেছিলেন।
নাজিয়ার যখন বয়স মাত্র ১৫ বছর, তখনই তাঁর সংগীত প্রতিভায় মুগ্ধ হয়েছিলেন সবাই। নাজিয়া বলিউডের ছবিতে তাঁর গান দিয়ে সবাইকে মুগ্ধ করেছিলেন। উপমহাদেশে তিনি তুমুল জনপ্রিয়তা পেয়েছিলেন। সেই আশির দশকেই তাঁর মঞ্চ উপস্থিতি, কণ্ঠের মাধুর্য সব মিলিয়ে সে সময় ব্যাপক সাড়া জাগিয়েছিলেন এই ক্ষণজন্মা কণ্ঠশিল্পী। নব্বইয়ের দশকেও তার জনপ্রিয়তা ছিল আকাশচুম্বী।
অল্পবয়সেই নাজিয়ার প্রতিভার কথা চারিদিকে ছড়িয়ে পড়ে। ফলে খুব অল্প সময়েই তিনি ‘আইকনে’ পরিণত হন। ইউনিসেফের শুভেচ্ছাদূত হিসেবে তিনি কাজ করেছেন। কিন্তু দুঃখের বিষ ২০০০ সালের ১৩ আগস্ট ফুসফুস ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে এই ক্ষণজন্মা সংগীতশিল্পী অকাল প্রয়াত হন।
সম্প্রতি শোনা যায়, জনপ্রিয় এই পপ সংগীতশিল্পীকে নিয়ে বলিউডে একটি ছবি তৈরি হতে যাচ্ছে। আর এ ছবিতেই ‘নাজিয়া হাসান’ চরিত্রে অভিনয়ে আগ্রহ প্রকাশ করেছেন বলিউডের হালের সেনসেশন অভিনেত্রী আলিয়া ভাট।