বিশ্বকাপে দল বাড়ানোর সিদ্ধান্ত কার্যকর করতে ফুটবলের অভিভাবক সংস্থাটি এবার নতুন একটি রূপরেখা ঘোষণা করেছে। কোন অঞ্চল থেকে বিশ্বকাপে কয়টি করে দল খেলবে তার পরিকল্পনা স্থান পেয়েছে এই রূপরেখায় । আসছে মে’তে ফিফার কাউন্সিল বসবে বাহরাইনে, সেখানে এসব প্রস্তাবনা উপস্থাপন করা হবে।
ফিফার প্রস্তাবিত পরিকল্পনায় ইউরোপ থেকে সর্বোচ্চ ১৬টি দেশ রাখার কথা বলা হয়েছে। আফ্রিকার দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৯টি, পরে এশিয়ার ৮টি দেশ থাকার কথা আছে। এর বাইরে লাতিন আমেরিকা ও কনক্যাকাফের ৬টি এবং ওশেনিয়ার ১টি করে দলের প্রস্তাব করা হয়েছে।
সরাসরি সুযোগ দেওয়ার প্রস্তাব করা হয়েছে ওশেনিয়া অঞ্চলের দলটিকে। বিশ্বকাপের আগে ছয়টি দেশ নিয়ে একটি প্লে-অফ টুর্নামেন্টের কথাও আছে, যেখান থেকে দুটি দল চূড়ান্ত পর্বে খেলবে। বিশ্বকাপে বর্তমানে ৩২টি দল অংশ নেয়। সেটা বেড়ে ৪৮টিতে দাঁড়াবে ২০২৬ সালের আসরে।
তবে আয়োজক দেশের বেলায় নিয়মের একটু ব্যত্যয় ঘটবে। আয়োজক দেশের বিনা বাছাইয়ে চূড়ান্ত পর্বে খেলার রীতি রয়েছে। সেক্ষেত্রে ওই দেশটি যে অঞ্চলের হবে সেই অঞ্চল থেকে বাছাইয়ে একটি দল কম হিসেব হবে।
প্লে-অফের টুর্নামেন্টের যে প্রস্তাবনা রাখা হয়েছে, সেটিরও আয়োজক হবে ওই বিশ্বকাপের স্বাগতিক দেশ। বিশ্বকাপের মূল পর্বের আগে অক্টোবর-নভেম্বরের কোন এক সময় হবে ছয় দলের এই প্লে-অফ। এর দুটি দেশ বেছে নেওয়ার প্রস্তাবনায় নতুনত্ব রেখেছে ফিফা। প্লে-অফে থাকবে না ইউরোপের কোন দল। অন্য পাঁচটি অঞ্চলের একটি করে ও স্বাগতিক দেশের অঞ্চলের একটি দেশ এতে অংশ নেবে।