রক্তচাপ বা ব্লাড প্রেসার শরীরের একটি স্বাভাবিক প্রক্রিয়া বা ধমনিক প্রবাহ। প্রতিটি হৃত্স্পন্দনের সময় একবার সর্বোচ্চ চাপ (সিস্টোলিক) এবং সর্বনিম্ন চাপ (ডায়াস্টোলিক) হয়, যা সাধারণত ঊর্ধ্ব বাহুর ব্রাকিয়াল ধমনিতে দেখা হয়। হাইপারটেনশনের আরেক নাম উচ্চ রক্তচাপ। উচ্চ রক্তচাপ গোটা বিশ্বেই একটি সাধারণ শারীরিক সমস্যা। যত্নশীল না হলে এই সমস্যার কারণে মৃত্যু পর্যন্ত ঘটতে পারে। কিন্তু খুবই সাধারণ কিছু নিয়ম-কানুন মেনে চললে সহজেই এই সমস্যা এড়ানো সম্ভব।
ওজন নিয়ন্ত্রণ করুন: মানুষের ওজন বাড়লে উচ্চ রক্তচাপের ঝুঁকিও বাড়ে। নিয়মিত শারীরিক পরিশ্রমের মাধ্যমে খুব সহজেই মানুষ নিজের ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারে। একই সঙ্গে উচ্চ রক্তচাপের ঝুঁকিও এড়িয়ে চলতে পারে।
প্রয়োজন নিয়মিত ব্যায়াম: সুস্থ থাকতে শারীরিক ব্যায়ামের কোন বিকল্প নেই। নিয়মিত শারীরিক ব্যায়াম বা পরিশ্রমের কারণে রক্তচাপ স্বাভাবিক থাকে। প্রতি সপ্তাহে কমপক্ষে ১৫০ মিনিট ব্যায়াম বা শারীরিক পরিশ্রমের চেষ্টা করুন। প্রতিদিন অন্তত ৩০ মিনিট শারীরিক পরিশ্রম উচ্চ রক্তচাপের সমস্যা অনেকাংশেই কমিয়ে দেয়।
খাবার গ্রহণে যত্নশীল হোন: চর্বিযুক্ত খাবার এড়িয়ে স্বাস্থ্যকর খাবার গ্রহণ করুন। এমন খাবার গ্রহণ করুন, যেন শরীর সব ধরনের পুষ্টি পরিমিতভাবে পায়।
লবণ খাওয়া কমান: অধিক লবণ খাওয়া হার্টের জন্য ক্ষতিকর। দৈনন্দিন খাদ্য তালিকায় লবণের পরিমাণ কমানোর চেষ্টা করুন। এতে আপনার হার্ট ভালো থাকবে। একই সঙ্গে উচ্চ রক্তচাপের সমস্যা থাকলে তা কমে আসবে।
ধূমপান ত্যাগ করুন: প্রতিটি সিগারেট পরবর্তী কয়েক মিনিটের জন্য শরীরের রক্তপ্রবাহ অস্বাভাবিকভাবে বাড়িয়ে দেয়। অধিক ধূমপান রক্তচাপকে ঝুঁকিপূর্ণ পর্যায়ে নিয়ে যেতে পারে। ধূমপান এড়িয়ে চলুন। এতে হার্ট ও রক্তচাপসহ সার্বিক স্বাস্থ্য স্বাভাবিক থাকে।
কফি কম খান: শরীরে কফির প্রভাব নিয়ে বিতর্ক আছে। অনিয়মিত কফি খাওয়ার ফলে রক্তচাপ অস্বাভাবিক বেড়ে যেতে পারে। কিন্তু যারা নিয়মিত কফি খায়, তাদের রক্তচাপে কফি কোনো প্রভাব ফেলে না। তবে দীর্ঘমেয়াদে সুফল পাওয়ার জন্য কফি কম খাওয়া ভালো।
বিশ্রাম: বাড়তি কর্মঘণ্টার কারণে অনেকেরই হাইপারটেনশন হয়ে যায়। এ ধরনের পরিস্থিতিতে পড়লে প্রতিসপ্তাহে ৪০ ঘণ্টা কাজ করতে হবে। পাশাপাশি প্রচুর বিশ্রামও করতে হবে।