রাত পোহালেই বাঙালির প্রানের উৎসব বাংলা নববর্ষ ১৪২৫। এরই মধ্যে ব্যাপক উৎসাহ-উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে বৃহস্পতিবার ওয়াশিংটন ডিসিতে বাংলাদেশ দূতাবাসে স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশ হিসাবে বাংলাদেশের ঐতিহাসিক অর্জন এবং শুভ বাংলা নববর্ষ উদযাপিত হয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্রে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ জিয়াউদ্দিন উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার গতিশীল নেতৃত্বে দেশের অর্থনৈতিক ও সামাজিক অগ্রগতির চিত্র তুলে ধরেন। তিনি বলেন, বাংলাদেশে সামষ্ট্রিক অর্থনীতি স্থিতিশীল রয়েছে। দেশে দারিদ্র্যতা হ্রাস পেয়েছে এবং খাদ্য ও জ্বালানি নিরাপত্তা অর্জিত হয়েছে।
দূতাবাস ভবনের বঙ্গবন্ধু অডিটোরিয়ামে আয়োজিত এ অনুষ্ঠানে রাষ্ট্রদূত বলেন, বাংলাদেশ বিশ্বের সর্ববৃহৎ অর্থনীতির দেশগুলোর একটি হতে যাচ্ছে। এ সময় অনুষ্ঠানস্থলে মুহুর্মুহু করতালি দিয়ে তার এ বক্তব্যকে স্বাগত জানানো হয়।
অনুষ্ঠানে বাংলাদেশে বিনিয়োগ সুবিধার ওপর একটি ডকুমেন্টারি প্রদর্শিত হয়। এ সময় ইউএসএইড এ্যাডমিনিস্ট্রেটর এ্যাম্বাসেডর মার্ক গ্রীণের একটি ভিডিও বার্তাও প্রদর্শন করা হয়।
বিদেশী কূটনীতিকগণ, বাংলাদেশে নিযুক্ত সাবেক মার্কিন রাষ্ট্রদূতগণ, যুক্তরাষ্ট্র সরকারের বিভিন্ন বিভাগের কর্মকর্তাগণ, সিনিয়র সাংবাদিক, শিল্পী, ব্যবসায়ী এবং বিপুলসংখ্যক প্রবাসী বাংলাদেশী অনুষ্ঠানে যোগ দেন।
রাষ্ট্রদূত জিয়াউদ্দিন বাংলা নববর্ষকে স্বাগত জানিয়ে বলেন, বাংলা নববর্ষ সকল ধর্ম বর্ণ সম্প্রদায় নির্বিশেষে বাঙ্গালী সংস্কৃতির অবিচ্ছেদ্য অংশ। পহেলা বৈশাখ প্রত্যাশা, শান্তি ও সমৃদ্ধির প্রতীক। তিনি বাংলা নববর্ষের প্রতিটি দিন শান্তি ও সমৃদ্ধি বয়ে আনবে বলে আশা প্রকাশ করেন। ভারপ্রাপ্ত মাকির্ন পররাষ্ট্রমন্ত্রী জন সুলিভান প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প এবং মার্কিন জনগণের পক্ষ থেকে বাংলা নববর্ষের শুভেচ্ছা জানিয়ে একটি বার্তা দেন। বার্তায় তিনি বলেন, পহেলা বৈশাখ বাংলা ভাষাভাষিদের আনন্দ উৎসবের মধ্য দিয়ে তাদের নিজস্ব সংস্কৃতি ও ঐতিহ্য তুলে ধরার একটি সুযোগ সৃষ্টি করে দিয়েছে। তিনি যুক্তরাষ্ট্রে বাংলা নববর্ষ উদযাপন করায় সেদেশে বসবাসকারী বাংলাদেশীদের অভিনন্দন জানান।
অনুষ্ঠানে সমবেত কন্ঠে এসো হে বৈশাখ, এসো এসো সঙ্গীত পরিবেশন করে বাংলা নববর্ষ-১৪২৫-কে স্বাগত জানানো হয়।-বাসস