জম্মু-কাশ্মীর ইস্যুতে ভারতকে চাপে ফেলতে গিয়ে এখন পাল্টা চাপে পাকিস্তান। পাকিস্তানের মধ্যে করাচির স্বায়ত্তশাসনের দাবিতে আন্দোলন করা ‘অনাবাসী’ নামের একটি সংগঠনের দাবি, কাশ্মীর নিয়ে কোনও কথা বলার অধিকার পাকিস্তান সরকারের নেই। কারণ পাকিস্তান তাদের জনগণের সাধারণ অধিকার খর্ব করছে, মানবিকার লঙ্ঘন করছে।
পাকিস্তানের এই সংগঠনের দাবি, পাকিস্তানের উচিত আগে নিজ দেশের সংখ্যালঘুদের অধিকার সুনিশ্চিত করা। পাকিস্তানের অন্যান্য সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের জন্যও স্বাধীন প্রদেশের দাবি জানিয়েছে এই সংগঠন। অনাবাসী সংগঠন মোহাজির নামের এই সংগঠনের নেতা নাদিম নুসরাত এখন পাকিস্তান থেকে বিতাড়িত হয়ে আছেন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে। নাদিম নুসরতের দাবি, কাশ্মীরিদের হয়ে কথা বলার কোনও নৈতিক অধিকার নেই পাকিস্তানের।
যদি ইমরান খানের সরকার পাকিস্তানের মধ্যে ‘গ্রেটার করাচি’-কে স্বায়ত্তশাসন দিতে হবে। তিনি বলেন, ‘নিজের দেশে সংখ্যালঘু মোহাজির, বালোচ, পাশতুন ও হাজারা গোষ্ঠীর জন্য সুনিশ্চিত করুক পাক সরকার। না হলে কাশ্মীরিদের জন্য অধিকারের দাবি জানানোর কোনও নৈতিক অধিকার থাকছে না ইসলামাবাদের।’
পাশাপাশি পাকিস্তানের বেশ কিছু অঞ্চলে স্বায়ত্তশাসনের দাবি উঠেছে। পাকিস্তান যেহেতু কাশ্মীরের স্বায়ত্তশাসন কেড়ে নেওয়ার ভারতের সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করছে, তাই খুব স্বাভাবিকভাবেই ইমরান খানের দেশেই এবার বিভিন্ন অঞ্চল থেকে আসছে স্বায়ত্তশাসনের দাবিতে আন্দোলনের খবর। পাকিস্তান যেভাবে কাশ্মীর নিয়ে ভারতের নতুন সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করছে, সেভাবে তো সবার আগে আমাদের দাবি মেনে গ্রেটার করাচিকে স্বায়ত্তশাসন দেওয়া উচিত।