করোনার উপদ্রবে অতিষ্ঠ বিশ্ববাসী। গবেষকরাও আশার আলো দেখাতে পারছেন না। তাঁরা জানিয়েছেন, ভ্যাকসিন আবিষ্কার হলেও কম করে আঠারো মাস সময় লেগে যাবে। এমন অবস্থায় কিছুটা আশার আলো দেখাল দুবাই।
করোনার সম্পূর্ণ জিনোম সিকোয়েন্সিং করা হয়েছে বলে দাবি করল দুবাই। যে কোনও ভাইরাস ছড়িয়ে পড়ার পর সেটির জিনগত উপাদানগুলিতে ছোট ছোট পরিবর্তন হয়। জিনোম সিকোয়েন্সিং করা গেলে সেই ভাইরাসের গতিবিধি সম্পর্কে স্পষ্ট ধারণা পাওয়া যায়।
দুবাইয়ের মহম্মদ বিন রশিদ মেডিসিন অ্যান্ড হেলথ সায়েন্সেস (এমবিআরইউ)-এর গবেষকরা করোনা আক্রান্ত রোগীর শরীর থেকে ভাইরাস নিয়ে সেটির জিনোম সিকোয়েন্সিং করেছেন।
সাম্প্রতিক গবেষণায় দেখা গিয়েছে, গড়ে প্রতি দুই সপ্তাহ পর পর করোনার মিউটেশন হয়। অর্থাত্ জেনেটিক পরিবর্তন হয়। তবে জিনোম সিকোয়েন্সিং—এর মাধ্যমে এই ভাইরাস কীভাবে ছড়ায় সেই সম্পর্কে আরও ভাল ধারণা পেতে পারেন গবেষকরা।
বিভিন্ন বয়সের মানুষের শরীরে কীভাবে ভাইরাসটি প্রভাব বিস্তার করে সেই সম্পরর্কেও ধারণা পেতে পারেন দুবাইয়ের গবেষকরা। এছাড়া এই ভাইরাস শরীরে আর কোনও রোগের বিস্তার ঘটাতে সক্ষম কি না সেই ব্যাপারেও আন্দাজ পাওয়া যেতে পারে।