ডিএমপি নিউজ: করোনা ভাইরাসে (কোভিড-১৯) আক্রান্ত হয়ে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের(ডিএমপি) আরও দুইজন পুলিশ সদস্য মারা গেছেন (ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। মৃত্যুবরণকারী ওই পুলিশ সদস্যরা হলেন পিওএম দক্ষিণ বিভাগের এএসআই আব্দুল খালেক ও ট্রাফিক উত্তর বিভাগের এয়ারপোর্ট জোনের কনস্টবল আশেক মাহমুদ।
গত ২৬ এপ্রিল, ২০২০ কনস্টবল মোঃ আশেক মাহমুদের করোনা উপসর্গ দেখা দিলে বিএসএমএমইউ ওইদিনেই তাঁর নমুনা সংগ্রহ করে। ২৭ এপ্রিল নমুনা টেস্ট রিপোর্টে তাঁর কোভিড-১৯ পজেটিভ আসে। এরপর থেকে তাকে সিদ্ধিশ্বরী স্কুল অ্যান্ড কলেজে আইসোলেশনে রাখা হয়। গতকাল ২৯ এপ্রিল সন্ধ্যায় তার অবস্থার অবনতি হলে তাকে কেন্দ্রীয় পুলিশ হাসপাতালে (সিপিএইচ) আইসিইউতে নেয়া হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাত সাড়ে নয়টার দিকে তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।
করোনা সংকট মোকাবেলায় সম্মুখ যুদ্ধের অগ্রভাগে থাকা বাংলাদেশ পুলিশের এই সদস্য জামালপুর জেলার মেলান্দহ থানার ইন্দ্রবাড়ি গ্রামে ১৯৭৮ সালে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর পিতার নাম মৃত. আয়েজ উদ্দীন।
তিনি ১৯৯৭ সালে বাংলাদেশ পুলিশে কনস্টবল পদে যোগদান করেন। মৃত্যুকালে তিনি স্ত্রী ও দুই পুত্রসহ অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে গেছেন।
এদিকে পিওএম দক্ষিণ বিভাগের এএসআই আব্দুল খালেক এর ২৮ এপ্রিল করোনা উপসর্গ দেখা দিলে আইইডিসিআর ওই দিনেই তাঁর নমুনা সংগ্রহ করে এবং ২৯ এপ্রিল তাঁরও নমুনা টেস্ট রিপোর্টে কোভিড-১৯ পজেটিভ আসে। এরপর থেকে তাকে আরামবাগ হোটেলে আইসোলেশনে রাখা হয়। গতকাল ২৯ এপ্রিল দিবাগত রাতে তাঁর অবস্থার অবনতি হলে তাকে কেন্দ্রীয় পুলিশ হাসপাতালে (সিপিএইচ) আইসিইউতে নেয়া হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আজ ৩০ এপ্রিল, ২০২০ অনুমান ০৪.৩০ টায় তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।
বাংলাদেশ পুলিশের এই সদস্য বরগুনা জেলার বেতাগী থানার ঝোপখালী গ্রামে ১৯৮৪ সালে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর পিতার নাম মৃত. আজিজ মৃধা।
তিনি ২০০৪ সালে বাংলাদেশ পুলিশে কনস্টবল পদে যোগদান করেন। মৃত্যুকালে তিনি স্ত্রী, দুই কন্যা ও এক পুত্রসহ অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে গেছেন।
আজ দুপুর ১২ টায় রাজারবাগ কেন্দ্রীয় জামে মসজিদে স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করে তাঁদের জানাযা শেষে পুলিশি ব্যবস্থাপনায় মরদেহ স্ব স্ব জেলায় প্রেরণ করা হয়েছে।
তাঁদের এই অকাল প্রয়াণে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করছে এবং তাঁদের বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনা এবং শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জ্ঞাপন করছে।
পুলিশের এই বীর সদস্যরা নিজের জীবনের ঝুঁকি নিয়ে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার আগ পর্যন্ত সম্মানিত নগরবাসীর নিরাপত্তার জন্য কাজ করে গেছেন। দেশমাতৃকার সেবায় তাঁদের এ আত্মত্যাগে বাংলাদেশ পুলিশ গর্বিত।