আমেরিকা থেকে সরে গিয়ে এরপরে করোনা টার্গেট করতে পারে আফ্রিকাকে, এমনটাই আশঙ্কা করেছেন ওয়ার্ল্ড হেলথ অর্গানাইজেশন অর্থাৎ হু-এর প্রতিনিধিরা। তাঁদের আশঙ্কা করোনার জেরে আফ্রিকায় কমপক্ষে ৩০ লক্ষ থেকে ৩৩ লক্ষ মানুষের মৃত্যু হবে।
হু-এর পক্ষ থেকে সতর্কবার্তায় বলা হচ্ছে, যদি এখনই এ ব্যাপারে আফ্রিকার দেশগুলি সতর্ক না হয়, সেক্ষেত্রে সংক্রমণ ছড়াতে পারে ১.২ বিলিয়ান মানুষের মধ্যে। গবেষকদের দাবি, যদি আফ্রিকায় এখন থেকে সোশ্যাল ডিস্ট্যান্সিং মানা শুরু হয়, তবে মহামারির শেষে সর্বমোট হিসেবে আক্রান্ত হতে পারে ১২২ মিলিয়ন মানুষ।
আফ্রিকায় প্রথম করোনা ভাইরাস পাওয়া গিয়েছিল ইজিপ্টে এক ব্যক্তির দেহে। ১৪ ফেব্রুয়ারি ওই দিনের পর থেকে এখন পর্যন্ত মিলেছে আরও ১৮ হাজার করোনা পজিটিভ কেস। আফ্রিকার আলজিরিয়ায় এখন পর্যন্ত সর্বাধিক মানুষের করোনার জেরে মৃত্যু হয়েছে সংখ্যাটা ৩৪৮।
অন্যদিকে অপর একটি সমীক্ষা জানাচ্ছে, আফ্রিকায় চলতি বছরের জুনের মধ্যে ১৬ মিলিয়ন মানুষ করোনা আক্রান্ত হতে পারে। ওই সমীক্ষায় দাবি করা হয়েছে আগামী ১০ সপ্তাহের মধ্যে আফ্রিকায় করোনার জেরে কমপক্ষে ২০ হাজার মানুষের মৃত্যুর আশঙ্কা রয়েছে।
তবে বিজ্ঞানীরা এই পরিসংখ্যানটি অত্যন্ত অনিশ্চিত বলে জানিয়েছেন। তাঁরা জানাচ্ছেন এই ভাইরাস আফ্রিকায় জুনের মধ্যে আক্রান্ত করতে পারে ২.৭ মিলয়ন মানুষকে। আবার আক্রান্ত করতে পারে ৯৮.৪ মিলিয়নের বেশি মানুষকেও। এটা পুরোপুরি নির্ভর করছে, কেমন ভাবে ওই ভাইরাস আফ্রিকায় প্রভাব বিস্তার করতে পারছে তার ওপর।
আফ্রিকায় এই ভাইরাস রোধে বিরাট প্রতিবন্ধকতা রয়েছে। পরিসংখ্যান জানাচ্ছে, এখানে ৩৬ শতাংশ মানুষের বাড়িতে জামা কাপড় ধোঁয়ার জায়গা নেই। ১০০ মানুষের জন্য হাসপাতালে ২ টি বেডও নেই বলে জানাচ্ছে পরিসংখ্যন। ফলে করোনা মহামারি আকার ধারণ করলে পরিস্থিতিটা সহজেই অনুমেয়।
জাতিসংঘের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, দারিদ্র্য, জনবহুল নগর পরিস্থিতি এবং ব্যাপক স্বাস্থ্য সমস্যা আফ্রিকাকে ভাইরাসের জন্য ‘বিশেষত সংবেদনশীল’ করে তুলেছে।