ডিএমপি নিউজ: বংশালের কসাইটুলির বাসিন্দা মোঃ জাহিদুর রহমানের স্ত্রী সন্তান সম্ভবা সাথে জ্বর ও গলা ব্যাথা। কী করবেন বুঝতে না পেরে মুঠোফোনে উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিসি) লালবাগকে জানান।
কার্যকারী ব্যবস্থা নিতে ডিসি লালবাগ তাৎক্ষণিক বিষয়টি বংশাল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোঃ শাহীন ফকির-বিপিএম কে জানালে ওসি বংশাল দ্রুত থানা এলাকার মহানগর জেনারেল হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের সাথে মুঠো ফোনে কথা বলেন। মহিলাটি গর্ভবতী এবং করোনা উপসর্গ আছে বিধায় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে সু-চিকিৎসা গ্রহণ করাতে পরামর্শ দেন। ওসি ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল পরিচালকের সাথে মুঠোফোনে বিস্তারিত বিষয় জানালে পরিচালক রোগীকে হাসপাতালে নেয়ার জন্য বলেন।
পরবর্তী সময়ে ওসি বংশাল উক্ত মহিলা ও তার স্বামীর জন্য পিপিই, মাস্ক ও হ্যান্ড গ্লোভস কিনে সঙ্গীয় অফিসার ও ফোর্সসহ ৩২নং কসাইটুলীর মোঃ জাহিদুর রহমানের বাসায় যান। সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে তার এবং অন্তঃসত্বা স্ত্রীর পিপিই, হ্যান্ড গ্লোভস, মাস্ক পরিয়ে পুলিশের গাড়িতে করে ঢাকা মেডিকেল নিয়ে যান। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ অন্তঃসত্বা মহিলার করোনার নমুনা সংগ্রহ করেন এবং তাকে গাইনী ও প্রসুতি ওয়ার্ডে ভর্তি হয়ে সু-চিকিৎসা নিতে বলেন। তিনি এবং তার আত্মীয় স্বজন জানায় তাকে হাসপাতালে ভর্তি না করে বাড়ীতে থেকে চিকিৎসা করাতে চাই।
তাদের এমন সিদ্ধান্তের পর পুনঃরায় সামাজিক দুরত্ব বজায় রেখে ও স্বাস্থবিধি মেনে অন্তঃসত্বা মহিলাকে নিজ বাসায় পৌঁছে দেয় বংশাল থানা পুলিশ। বাসায় পৌঁছে দিয়েও থানা পুলিশ তাঁর সুস্থতার বিষয়ে নিয়মিত যোগাযোগ রাখছেন বলে ডিএমপি নিউজকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বংশাল থানার অফিসার ইনচার্জ।