চীনের উহান থেকে উৎপত্তি হয়ে বিশ্বব্যাপী তান্ডব চালাচ্ছে করোনাভাইরাস। এ পর্যন্ত বিশ্বে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ৮,৭২,৪৪৭ জন এবং মারা গেছে ৪৩,২৬৯ জন।
করোনা সংক্রমনে জেগে উঠেছে ডায়রিয়া, ঘ্রানশক্তি চলে যাওয়া, খাবারের স্বাদ বুঝতে না পারা ও চোখ গোলাপী হয়ে যাওয়া এরকম নানা নতুন নতুন উপসর্গ ।
এ বিষয়ে বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, শ্বাসকষ্ট না হলেও সর্দি, কাশি, জ্বরের সঙ্গে এই উপসর্গগুলো দেখা দিলে চিকিত্সকরে পরামর্শ নেওয়ার অনুরোধ করেছেন।
স্বাদ ও ঘ্রানশক্তি হারানো করোনাভাইরাসের নতুন উপসর্গ। এই উপসর্গ নিয়ে একাধিক করোনা আক্রান্ত রোগী ভর্তি হতে শুরু করেছেন বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে। বিশেষ করে আমেরিকায় তো এই উপসর্গ অধিকাংশ করোনা আক্রান্ত রোগীর দেখা যাচ্ছে। এই মুহূর্তে সবচেয়ে বেশি করোনা সংক্রমণ হয়েছে আমেরিকাতেই।
হজম শক্তি কমে যাওয়া করোনাভাইরাসের আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ উপসর্গ। যার কারণে ডায়রিয়া উপসর্গ দেখা দিচ্ছে আক্রান্তদের শরীরে। ফলে শরীরে পানি কমে যাচ্ছে। চীনের উহান প্রদেশের করোনা আক্রান্ত রোগীদের এই উপসর্গ বেশি দেখা গিয়েছিল। বিভিন্ন দেশে করোনা আক্রান্ত রোগীদের যে উপসর্গ দেখা দিচ্ছে তার মধ্যে ডায়রিয়া প্রায় সব দেশেই করোনা রোগীদের দেখা দিচ্ছে বলে জানিয়েছেন গবেষকরা।
করোনা সংক্রমণের আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ উপসর্গ হলো চোখ গোলাপী হয়ে যাওয়া। তবে এই উপসর্গ খুব কম রোগীর শরীরেই দেখা দিয়েছে। এক থেকে তিন শতাংশ করোনা আক্রান্ত রোগীর চোখ গোলাপী হওয়ার প্রবণতা দেখা দিয়েছে। তার সঙ্গে চোখ ফুলে যাওয়ার মতো ঘটনাও ঘটছে।
করোনা আক্রান্ত রোগীদের আবার সাধারণ সর্দি কাশির মতো মাথা ধরাও দেখা দিচ্ছে। কাজেই অনেক সময় পার্থক্য করা সম্ভব হচ্ছে না। ফলে চিকিত্সকরা জানিয়েছেন সর্দিকাশি জ্বরের সঙ্গে যদি অন্য কোনো একটি উপসর্গও দেখা দেয় তাহলে সঙ্গে সঙ্গে রক্ত পরীক্ষা করান এবং চিকিত্সকরে পরামর্শ নিন। এই মাথা ব্যাথা বা মাথা ধরার সঙ্গে শরীরে একটা অদ্ভুত অস্বস্তি তৈরি হচ্ছে করোনা আক্রান্ত রোগীদের।